ঝালকাঠিতে প্রতিবন্ধী যুবতী ও তার মাকে মারধর ॥ বস্ত্র হরন মামলা আসামীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ
ঝালকাঠি শহরে এক প্রতিবন্ধী যুবতী ও তার মাকে মারধর-পরিধেয় বস্ত্র হরনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করলেও প্রভাবশালী আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে ও বাদী পরিবারকে মামলা তুলে নিতে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সংঘবদ্ধ আসামীরা পৈত্রিক সম্পত্তি দখল কালে বাধা দেয়ায় অসহায় বাদী প্রতিবন্ধী নাজমিন আক্তার রিপা (২৫) ও তার মা লিলি বেগমের (৪৫) উপর এ মধ্যযুগীয় নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলে তদবী ও উর্ধতন এক পুলিশ কর্মকর্তার শেল্টারে থানা পুলিশের সম্মুখে আসামীরা প্রকাশ্যে হুমকি ও চাপ সৃষ্টির কারনে বাদী পরিবারটি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে।
মামলার বিবরনে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের পুরাতন কলাবাগান এলাকার ফারুখ মৃধার কন্যা বাদী প্রতিবন্ধী নাজমিন আক্তার রিপার পৈত্রিক জমি নিয়ে আদালতে মামলা ও নিষেধাজ্ঞার সংঘবদ্ধ আসামী চক্র উক্ত জমি বালু ভরাট করাতে শুরু করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও পুলিশকে উপেক্ষা করে কাজ করাতে থাকলে বাধা দিলে আসামী আবুল মৃধা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাদী রিপার ডানহাতের কব্জি ও আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে। তাকে রক্ষা করতে মা লিলি বেগম ছুটে আসলে আসামী হানিফ হাওলাদার, নাসির মৃধা, মোঃ নুরু, সাহেদ আলী ও মাসুদ মৃধা সহ তাদের দলবল তাকে বেধরক মারধর করে আহত। এমন কি আসামীরা বাদী রিপার পরিধেয় বস্ত্র টেনে-হ্যাঁচরে ছিড়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝালকাঠি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা করায়।
বাদী পরিবারের অভিযোগ, প্রধান আসামী আবুল মৃধা গনিষ্ট সহযোগী ঢাকা-ঝালকাঠি রুটের একটি লঞ্চের স্থানীয় সুপারভাইজার হানিফ ও লঞ্চঘাট এলাকার সাবেক ত্রাস নুরু রাজনৈতিক মহলে তদবীর ও উর্ধতন এক পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করায় এজাহারভূক্ত আসামী সত্বেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে আসামীদের ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, মামলা প্রধান আসামী আবুল মৃধা ও বাদী প্রতিবন্ধী নাজমিন আক্তার রিপার পিতা ফারুখ মৃধা ঘনিষ্ট আত্মীয় এবং জমিজমার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ। তাই বাদী পক্ষ তাদেও প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে মিথ্যা কাহিনী বানিয়ে এ মামলা দায়ের করেছে। বাকিদের প্রতিহিংসা মূলক ভাবে আসামী করে হয়রানি করা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই