ঝালকাঠিতে একই পরিবারে ৪ জনের ইসলাম ধর্ম গ্রহন
ঝালকাঠির গাবখান-ধানসিড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম বিন্নাপাড়া গ্রামের সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী একই পরিবারের ৪ জন মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এভিডেভিট প্রদানের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন।
আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম এর আদালতে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে পরিবারের প্রধান অমল মন্ডল ওরফে মোঃ ওমর ফারুক, তার স্ত্রী মিনতী রানী মন্ডল ওরফে মিনারা বেগম, তাদের দুই পুত্র অসিম ওরফে মোঃ হাসান ও অনিক ওরফে মোঃ হোসাইন নতুন নাম গ্রহন করেন। আদালতে এভিডেভিটের পর বিশিষ্ট ইসলামী দার্শনিক মরহুম হযরত মাও: কায়েদ ছাহেব হুজুর রা: এর নেছারাবাদ কমপ্লেক্স এ উপস্থিত হয়ে মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদীর কাছে কলেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের কার্য সম্পন্ন করেন।
এ ব্যাপারে নওমুসলিম মোঃ ওমর ফারুক জানায়, আমি দীর্ঘ দিন শহরের বারী মেটাল ষ্টোরে কর্মরত থাকার সময় তার স্ত্রীর ধর্মীয় অনুশাসন পালন দেখে ও বিভিন্ন মাহফিল সহ ইসলামী জলসার ওয়াজ নসিহাত শুনে আকৃষ্ট হয়ে পরিবারের সাথে আলাপ করি। পূর্বের হিন্দু ধর্মের প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই তবে ইসলাম ধর্মের নিয়ম-কানুন আমার ভাল লাগায় স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে আজ ইসলাম গ্রহন করলাম। অন্যদিকে নওমুসলিম মিনারা বেগম জানায়, আমি কারো চাপে বা কোন ভয়ে মুসলমান হচ্ছি না। আমার নিজের ইচ্ছায় ও ভালো লাগার কারনে স্বামীর সাথে আলাপ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছি।
এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, সোমবার সকালে জহির উদ্দিন স্বপন সহ কয়েকজন ব্যক্তি আমার চেম্বারে আসেন। এ সময় আমি তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি- ইসলামের রীতিনীতি, কৃষ্টিকালচার ও বিধিবিধানে অনুপ্রাণীত হয়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহনের করতে চাচ্ছে তারা। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে ঘোষনা দিয়ে তাদের আইনী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
তার জুনিয়র এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন জানায়, আদালত থেকে তাদের নেছারাবাদ কমপ্লেক্স এর অধ্যক্ষ মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের কাছে কলেমা পাঠের পর তাদের নতুন ইসলামী কাপড় প্রদান ও সবাইকে দুপুরের খাবার শেষে বিদায় দেয়া হয়।
মন্তব্য চালু নেই