শিক্ষা-দূর্নীতি

ঝালকাঠিতে অতিরিক্ত ফি ফেরত না দেয়ায় প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা

মহামান্য হাইকোর্টের রায় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে ঝালকাঠির মানপাশা শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপে ‘আদায়কৃত অতিরিক্ত ফি ২০ জানুয়ারির মধ্যে ফেরত না দেওয়ার’ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য তোফাজ্জেল আলী খন্দকার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা আ’লীগ যুগ্মসম্পাদক আবুবকর ছিদ্দিকের বিরুদ্ধে সরকারী প্রজ্ঞাপন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। অতিরিক্ত ফি ফেরত না দেওয়ায় আদালতের বিচারক অভিযোগের বিষয়ে ঝালকাঠি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় বিবরনে উল্লেখ করেন, হাই কোর্টের এক আদেশের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ জানুয়ারির মধ্যে বাড়তি ফি ফেরত না দিলে ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহন কওে সকল বিদ্যালয়ে পরিপত্র প্রেরন করা হয়। ঝালকাঠি সদর উপজেলার মানাপাশা শেরে বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা আ’লীগ যুগ্মসম্পাদক আবুবকর ছিদ্দিক একক ভাবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়ার নির্দেশ উপেক্ষা করেন। বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী দশম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা আদায় করা হয়। । সম্প্রতি হাইকোর্ট ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেও প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক তা উপেক্ষা করে আদালত অবমাননার অপরাধ করা হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়টির নামে সোনালী ব্যাংক ঝালকাঠি কোর্ট বিল্ডিং শাখায় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে সঞ্চয়ী ১৩৭৩২ নং হিসাব রয়েছে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তহবিল তসরুপের অসৎ উদ্দেশ্যে ও দুর্নীতির লক্ষ্যে এই ব্যাংক হিসাবটিতে আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষনে করছেন না। ম্যানেজিং কমিটির সভায় আমি বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষনে ব্যাংক হিসাব ব্যবহারের প্রস্তাব দেই। এতে প্রধান শিক্ষক বিশেষ ঝামেলা ও ব্যয়বহুল উল্লেখ করে ব্যাংক হিসাব ব্যবহার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।এ ছাড়াও বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ও শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক কম্পিউটারের কাজ বাহির থেকে করে অতিরিক্ত ভাউচার দেখান।
মামলা দায়েরের পর এ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ফিরোজ সরদার, মনসুর আলী ওরফে দিলু কাজীসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী প্রধান শিক্ষক আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে পরীক্ষার হলে খালি ফর্মে স্বাক্ষর নেন। এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র বিনয়কাঠি কলেজে এ পরীক্ষা শুরু হলে প্রধান শিক্ষক তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিমল রায় ও বাদশা খানের মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে ১৯০ টাকা করে শিক্ষার্থীদের ফেরত দেন। শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি হল সুপার হওয়ায় তাদের খাতা দেয়া হবে না বলে স্বাক্ষর দিতে আমাদের সন্তানদের বাধ্য করা হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আবুবকর সিকদার বলেন, মামলার কথা লোক মুখে শুনলেও কোন কাগজপত্র পাইনি। পরীক্ষার হলে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা দেয়ার ঘটনা সঠিক নয়। মামলার বিষয়ে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখন পর্যন্ত মামলার কোন কাগজ পত্র পাইনি।



মন্তব্য চালু নেই