জ্যৈষ্ঠের দাবানলে রসাল জামরুল

জ্যৈষ্ঠ মাসের লোভনীয় ফল জামরুল। প্রকৃতি যত বেশি রোদে তপ্ত থাকে জামরুল তত বেশি মিষ্টি হয়। জ্যৈষ্ঠের দাবানলে বাজারে এসেছে গ্রীষ্মের ফল জামরুল। চলতি পথে হরহামেশাই এখন চোখে পড়ে, ফুটপাতে ডালাভরা টসটসে জামরুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তৃষ্ণা নিবারণে জামরুলের জুড়ি নেই।

সারা দেশেই এর-ওর বাড়ির আঙিনার আশপাশে চিরসবুজ গাছটি চোখে পড়লেও একে নিজ দেশের উদ্ভিদ ভাবার কারণ নেই। তবে বহুকাল থেকে আমাদের দেশে গাছটি জন্মাচ্ছে। সে কারণে এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছে অনেক আগেই। ইংরেজিতে বলে ‘স্টার অ্যাপল’ বা ‘ওয়াটার অ্যাপল’। বৈজ্ঞানিক নাম ঊঁমবহরধ লধাধহরপধ।

কৃষি অফিস জানায়, গ্রীষ্মের মৌসুমি ফলের মধ্যে জামরুলই বাজারে আসতে শুরু করেছে। মার্চের শুরুতেই গাছে ফুল আসে, এপ্রিলের শেষ নাগাদ ফল পাকতে শুরু করে। বর্ষার মাঝামাঝি পর্যন্ত পাওয়া যায়। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে কয়েকবার ফল আসে গাছে। কোনো কোনো জাতের বছরে দুবার গ্রীষ্মের পাশাপাশি শীতেও ফলন হয়। ফল সাদা, লাল ও গোলাপি।

তারা জানায়, আমাদের দেশে চারটি প্রধান জাতের জামরুল রয়েছে। দেশি জাতের জামরুলের গাছগুলো বড়, তবে এর ফল আকারে ছোট, মিষ্টিও কম। থাই জামরুলের গাছ ছোট হলেও ফলের আকার বড়। রসাল আর মিষ্টি। থাই জামরুল বলা হলেও এগুলো আসলে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের বিভিন্ন জাত।

বাণিজ্যিকভাবে বা বাড়ির ছাদে-আঙিনায় এসব জাতের চাষ হচ্ছে। ছোট আকারের গাছের সরু শাখায় ঝুলে থাকা টকটকে লাল বা দুধসাদা জামরুলগুচ্ছের সৌন্দর্যও দৃষ্টিকাড়া। কিছু কিছু আছে মোমের মতো সাদা ফলটির মুখের কাছে একটু গোলাপি আভা, কোনোটির আবার সাদার ওপর লম্বা লাল রেখা।



মন্তব্য চালু নেই