অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংকরোড থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে গণপরিবহনের শ্রমিকরা।

বুধবার সকাল থেকেই কাঁচপুর ও শিমরাইল মোড়সহ বিভিন্ন পয়েন্টে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয় গণপরিবহনের শ্রমিকরা। এসময় তারা বিক্ষোভও করতে থাকে। শুধু মাত্র রোগী পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো পরিবহনই চলতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি রিকশা ভ্যানের চাকারও হাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে গণপরিবহন শ্রমিকরা।

সকাল ১০ টায় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ তার স্ত্রীকে নিয়ে রিকশাযোগে শনিরআখড়ায় যাচ্ছিলেন চট্টগ্রামরোড থেকে। তাদের বহনকারী রিকশাটি ইউটার্ন এলাকায় পৌঁছলে গণপরিবহন শ্রমিকরা ওই রিকশার চাকার বাতাস ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় এক সাংবাদিক বাধা দিলে গণপরিবহন শ্রমিকরা ওই রিকশাটি যেতে দেয়।

এদিকে গণপরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অফিসগামী যাত্রীদের দেখা গেছে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হতে। অনেক প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস গণপরিবহন শ্রমিকদের ভয়ে মহাসড়কের পাশে নিরাপদ জায়গায় পার্কিং করে রাখা হয়েছে।

তবে জাতীয় ডিজিটাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি জসিম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা হলে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের শিমরাইল ট্রাফিক বক্সে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোল্ল্যা তাসলিম হোসেন জানান, পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের কারণে কোনো যান চলাচল করতে পারছে না। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।