জোরালো হচ্ছে ফেসবুক খুলে দেয়ার দাবি

যাদের দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তারা গত কয়েক দিন ধরে অসহ্য সময় পার করছেন। ফেসবুকহীন সময় এটা তরুণ প্রজন্মের কাছে অভাবনীয় হলেও বাধ্য হয়ে বিচ্ছিন্ন জগতে বাস করতে হচ্ছে তাদের। কারণ গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।

এদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে ততই জোরালো হচ্ছে ফেসবুক খুলে দেয়ার দাবি। গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শিগগির খুলে দেয়া হবে ফেসবুক। তার এই বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়েছিলেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এর মধ্যে দুই দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফেসবুক চালুর কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, সরকার আরও কিছুদিন ফেসবুক বন্ধ রাখতে চায়।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ বন্ধ রাখা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে গত বুধবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে সরাসরি ও ফ্যাক্সযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।

এদিকে ফেসবুক এবং ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে মোখলেছুর রহমান নামের ওই শিক্ষার্থীকে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে একই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিবাদী মোখলেস রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে।

এদিকে কেউ কেউ বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। সরকার তাদের নজরদারিতে রেখেছে এমন হুঁশিয়ারির পরও কেউ তা মানছে না। অল্পসংখ্যক লোক বিকল্প পদ্ধতিতে এগুলো ব্যবহার করলেও অধিকাংশ মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছে না। এজন্য সবার দাবি, শিগগির খুলে দেয়া হোক ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই