জেনে রাখুন, জীবনযাপনের জন্য পৃথিবীর সুন্দরতম শহর এটিই!

পৃথিবীতে নামজাদা এবং সুন্দর শহরের অভাব নেই। কিন্তু সেই সমস্ত শহরের মধ্যে সুন্দরতম কোনটি, কোনটিই বা বসবাসের পক্ষে সবথেকে খারাপ? সেই প্রশ্নটিকে সামনে রেখেই কনসাল্টিং ফার্ম মার্সার ২৩১টি শহরের একটি তালিকা প্রস্তুত করে প্রতি বছর। ২০১৭-র তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। জীবনযাপনের পক্ষে সবচেয়ে সুবিধাজনক থেকে নিকৃষ্টতম— এই ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে শহরগুলির নাম। এবং সেই তালিকার প্রথম স্থানটি অধিকার করেথে অস্ট্রিয়ার গ্র্যান্ড ক্যাপিটাল ভিয়েনা।

সমীক্ষকরা এই তালিকা তৈরির সময়ে বিভিন্ন শহরের রাজনৈতিক স্থিরতা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, অপরাধের হার, আমোদ-প্রমোদের বন্দোবস্ত, এবং পরিবহণ ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য প্রসারের সুবিধার্থেই প্রতি বছর এই তালিকা প্রস্তুত করে মার্সার।

পরপর আট বছর এই খেতাব পেল দানিয়ুব নদ তীরবর্তী প্রাচীন শহর ভিয়েনা। ভিয়েনায় বাড়ি ভাড়া এবং পরিবহণের খরচ অত্যন্ত কম। পাশাপাশি এই শহরের রয়েছে বিরাট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বিপুলায়তন অপেরা হাউজ, মিউজিয়াম, থিয়েটার কিংবা কাফে— ভিয়েনার বসবাসকারীদের জীবনযাপনে অনেক বৈচিত্র্যও সংযোজন করেছে। স্বভাবতই এই শহর বসবাসের পক্ষে সবচেয়ে সুবিধাজনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

ইরাকের রাজধানী বাগদাদ বসবাসের পক্ষে নিকৃষ্টতম শহরের তকমা পেয়েছে। ২০০৩ সালে আমেরিকার নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অনুপ্রবেশ ঘটার পর থেকেই বাগদাদে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মান অত্যন্ত পড়ে গিয়েছে।

মজার বিষয় হল, লন্ডন, প্যারিস, টোকিও, নিউ ইয়র্কের মতো পৃথিবীর বিখ্যাত সমস্ত শহর তালিকার প্রথম ৩০-এও স্থান পায়নি। ২৯ নম্বরে রয়েছে স্যান ফ্র্যান্সিসকো। তালিকায় কোনও মার্কিন শহরের সর্বোচ্চ অবস্থান এটিই। জীবনযাপনের জন্য এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর শহর বলে বিবেচিত হয়েছে সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুর রয়েছে ২৫ নম্বরে। আর এশিয়ার সবচেয়ে সুবিধাজনক শহর হিসেবে ডারবান রয়েছে ৮৭ নম্বরে।

ভারতীয় শহরগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ। এই শহর রয়েছে ১৪৪ নম্বরে। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে পুণে (১৪৫), বেঙ্গালুরু (১৪৬), চেন্নাই (১৫১), মুম্বই (১৫৪)। কলকাতার ঠাঁই হয়েছে ১৬০ নম্বরে। ১৬১-তে রয়েছে দিল্লি। পাকিস্তানের লাহোরের অবস্থান ২০২ নম্বরে, আর বাংলাদেশের ঢাকা রয়েছে ২১৪-এ।

লিকার প্রথম পাঁচে ভিয়েনার পরে রয়েছে যথাক্রমে সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখ, নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড, জার্মানির মিউনিখ এবং কানাডার ভ্যাঙ্কুভার। আর তালিকার একেবারে নীচে ২৩১ নম্বরে বাগদাদের আগে কঙ্গোর ব্রাজাভিল আর ইয়েমেনের সানা রয়েছে যথাক্রমে ২২৯ এবং ২৩০ নম্বরে।



মন্তব্য চালু নেই