জেনে নিন সৌম্য মুস্তাফিজের বাড়ীর খবরাখবর
বাড়ি ও বাড়ির প্রাচীর (দেওয়াল) বাংলাদেশের পতাকার রঙে তৈরী। গেটের সামনে বড় করে লেখা লাল সবুজ। জনপ্রিয় ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বাড়ি বর্ণনা এ রকম। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ক্রিকেট খেলা চলছে চট্টগ্রামের মাঠে। টিভিতে খেলা দেখছে গোটা জাতি। ২য় ম্যাচের জয়ের পর সিরিজ জয়ের আশায় বুক বাধছে ক্রিকেট প্রেমীরা।
সৌম্য সরকারের মা নমিতা রাণী সরকার ও বড় বৌদি রিংকু সরকার পূজা অর্চনা করছেন
বুধবার বিকালে ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের নিজ জেলা সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার বাসাতে গিয়ে দেখা গেল বড় স্কিনে খেলা দেখছে তার পরিবারের তিন জন। তারা হলেন, সৌম্যের বাবা সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, বড় ভাই প্রণব সরকার, মেঝ ভাই পুষ্পেণ সরকার। তার মা নমিতা রাণী সরকার ও বড় বৌদি রিংকু সরকারকে খুজে পাওয়া গেল না কোথাও। পরে জানা গেলে বাংলাদেশের খেলার দিন সৌম্য সরকারের মা নমিতা রাণী সরকার উপোষ থেকে খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূজা অর্চনা করতে থাকেন। প্রার্থনা করেন তার ছেলে প্রতিপক্ষের বোলারদের বলে বলে চার-ছয় মারুক আর দেশের জন্য বয়ে আনুক সুনাম।
খ্যাতিমান ক্রিকেটারের মেঝ ভাইও একজন ভালো ক্রিকেটার। তিনি খেলেছেন সাতক্ষীরা গণমুখী সংঘসহ ঢাকার অনেক ক্লাবে। এখনও খেলেন। বড় ভাই প্রণব সরকার সরকারি চাকুরীজীবী। তিনিও ক্রিকেট ভালো বোঝেন। খেলা দেখছিল আর খেলার নানা বিষয়ে মন্ত্রব্য করছিলেন পুষ্পেণ সরকার ও প্রণব সরকার।
সৌম্যের বাবা কিশোরী মোহন সরকার বলছিলেন, সৌম্য নামের অর্থ: শান্ত-শিষ্ট সুন্দর। সে ছোট বেলা থেকে শান্ত ছিল। স্কুলে বা খেলার মাঠে কোন সহপাঠীর সাথে কখনো ঝগড়া করেছে এমন অভিযোগ আসেনি। কিন্তু সৌম্য এক জায়গায় ব্যতিক্রম। খেলার মাঠে প্রতিপক্ষের বোলাদের সামনে ভয়ংকার রূপ ধারণ করেন।
‘দ্য পেরিস্কোপের আবিষ্কারক সৌম্য সরকারের মা নমিতা রাণী সরকার জানালেন, খেলার দিন তিনি সারাদিন উপোষ থাকেন, খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত পূজা অর্চনা করতে থাকেন। প্রার্থনা করেন ছেলে সৌম্য টিম বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলে ছিনিয়ে আনুক জয়ের মুকুট। দেশের জন্য বয়ে আনুক গৌরব।
এদিকে সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস খ্যাত মুস্তাফিজের বাড়িতে খোজ নিয়ে জানা গেছে, তার উইকেট পাওয়ার সাথে সাথে বাড়ির কালিগঞ্জ উপজেলার তারালি গ্রামে চলছে আনন্দ উৎসব।
তার বাবা আলহাজ্ব আবুল কাশেম গাজী ও মা মাহমুদা খাতুন রমজানের রোজা রাখার পাশাপাশি নফল নামাজ পড়ে ছেলের জন্য দোয়া করছেন। যেন তার ছেলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংদের হাটুতে কাপন ধরাতে পারেন।
মন্তব্য চালু নেই