জেনে নিন মধু খেয়ে ওজন কমানোর ৬টি কৌশল

ওজন কমানো খুবই কঠিন কাজ, কিন্তু সঠিক প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে এই প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করা যায়। মধুর উপকারিতার কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আপনি কি জানেন মধু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি উপাদান? গবেষণায় জানা যায় যে, প্রতিদিন এক চামচ মধু সেবন আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। আসুন ওজন কমাতে মধু খাওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই।

১। দারুচিনি ও মধু
দারুচিনি যখন মধুর সাথে ব্যবহার করা হয় তখন তা পরিপাকের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে এবং বিপাককে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। এক চামচ দারুচিনি গুঁড়ার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে আপনার ওজোন কমানোর লক্ষপূরণ হবে।

২। ত্রিফলা ও মধু
ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ত্রিফলা ও মধু। ত্রিফলা পরিপাকের উন্নতি ঘটায় এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। যখন মধুর সাথে ত্রিফলা মিশানো হয় তখন মিশ্রণটি বিপাকের হার বৃদ্ধি করে ওজন কমতে সাহায্য করে। সারারাত একচামচ ত্রিফলা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি ফুটিয়ে নিন এবং একচামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

৩। গোলাপের পাপড়ি ও মধু
শুনে অবাক হচ্ছেন? বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, গোলাপের পাপড়ি ও মধুর মিশ্রণ ওজন কমতে সাহায্য করে। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে, কিছু গোলাপের পাপড়ি পানিতে ফুটিয়ে নিন চা তৈরি করার জন্য। তারপর গোলাপ চা উষ্ণ থাকেই এতে একচামচ মধু মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন।

৪। নিম ফুল ও মধু
ওজন কমানোর আরেকটি মোক্ষম উপাদান হচ্ছে নিম ফুল ও মধুর মিশ্রণ। কিছু নিম ফুল থেঁতলে নিন এবং এর সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিন যাতে মিশ্রণটি একচামচ পরিমাণ হয়। ভালো ফল পেতে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন।

৫। লেবু ও মধু
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপাদান হচ্ছে লেবু ও মধুর মিশ্রণ। এই মিশ্রণটি পরিপাকের উন্নতি ঘটায় ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বাহির করে দেয়। একচামচ তাজা লেবুর রসের সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

৬। হাইবারনেশন ডায়েট
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেলে আপনার ওজন ৩ সপ্তাহের মধ্যে কমে যাবে। হানি ডায়েটের প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশ ফার্মাসিস্ট মাইক মেকেলনেস এবং তার ছেলে পুষ্টিবিজ্ঞানী স্টুয়ারট আবিষ্কার করেন, যে ক্রীড়াবিদেরা ফ্রুকটোজ সমৃদ্ধ খাবার যেমন- মধু খান তাদের স্টেমিনা বৃদ্ধি পায় এবং অনেক বেশি চর্বি পোড়ে। মধু যকৃতে গ্লুকোজ উৎপাদনের জ্বালানী হিসেবে কাজ করে। এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কের সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয় এবং চর্বি পোড়ানোর হরমোন নিঃসরণে বাধ্য করে। হানি ডায়েটের মাধ্যমে উপকৃত হতে চাইলে চিনির স্থানে মধুকে প্রতিস্থাপন করে নিন।
মধু খাওয়ার সাথে সাথে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ব্যয়াম করুন তাহলে আপনি উল্লেখযোগ্য হারে ওজন কমতে দেখবেন। অনেক বেশি চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার জন্যই বেশির ভাগ মানুষকে ওজন কমাতে যুদ্ধ করতে হয়। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনাকে মধুর বদলে সব ধরণের চিনি বাদ দিতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই