জেনে নিন, বিয়ের আগে কোনটা উচিত কোনটা অনুচিত !

বিয়ের আগে একটি নারী ও পুরুষের জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন থাকে। যখন থেকেই একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষের বিয়ে দেয়া নিয়ে পরিবার থেকে কথাবার্তা বলা হয় ঠিক তখন থেকেই আসলে নিজেকে একটু গুছিয়ে নেয়া উচিত। বিয়ের আগে একে অপরের সাথে কী করবেন বা কী করা উচিত এবং কন্তা উচিত না, এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা কারোরই থাকে না। তাই আজকের ফিচারে বিশেষ করে পুরুষদের জন্য দেয়া হল কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য।

বিয়ের আগে কী করবেন

১। পুরুষদের বলা হচ্ছে ইমেজ ভাঙবার জন্য প্রস্তুত হন। আপনি হয়তো এখনো আপনার এলাকার রোমিও বা মায়ের আদরের ছেলে। স্বভাব পাল্টাতে হবে। নইলে বিয়ের পর দেখা দিবে মহা বিপদ। ব্যাচেলর, ম্যারেড প্রত্যেকের আলাদা,আলাদা ইমেজ থাকে। একটা ইমেজ না ভাঙলে আরেকটা ইমেজ কীভাবে তৈরি হবে।

২। রূপের প্রশংসা করুন। হ্যাঁ, আপনার বউ খুব সুন্দরী না হলেও তার রূপের প্রশংসা করুন। আসলে সব মেয়েই সুন্দরী হতে চায়। বিশেষত স্বামী ও প্রেমিকের চোখে। তাই বলে যে আপনি মিথ্যা প্রশংসা করবেন তা মোটেও ঠিক নয়। সব মেয়েরাই কিছু না কিছু দিক থেকে সুন্দর। তার প্রশংসা করুন।

৩। প্রেমিকাকে ভরসা দিন। আপনি যদি প্রেমে পড়ে থাকেন ও আপনার প্রেমিকা আপনার ভরসায় তার সব কিছু ছেড়ে চলে আসতে চায়, তাহলে বিব্রত হবেন না। আপনি যদি আশ্রয় চাওয়া মাত্র তাকে ভরসা দিতে পারেন তাহলে, সারা জীবন সে আপনার ওপর ভরসা করবে। তাই কখনো পালিয়ে গিয়ে কিছু করার মত ভুল কাজ করবেন না। সময় বুঝে কাজ করুন।

৪। ফুলশয্যার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। মনে রাখবেন স্ত্রীর লজ্জা আপনাকেই ভাঙতে হবে। স্ত্রীর কোন ভয় থাকলে তা আপনাকেই দূর করতে হবে। ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে এগোতে হবে আপনার কোন তাড়াহুড়ো করবেন না। আপনার স্ত্রীকে মানসিক প্রস্তুতি নেয়ার সময় দিন। ইচ্ছের বিরুদ্ধে কখনোই জোর করবেন না তাহলে প্রথম থেকেই সম্পর্কের মাধুর্যতা নষ্ট হয়ে যাবে।

বিয়ের আগে কী করবেন না

১। অনেক সময় পত্র-পত্রিকায় বিয়ের বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে যে পাত্রী সুন্দরী ও লম্বা হতে হবে। তাছাড়া পুরুষরা এমনটাই চেয়ে থাকেন নিজের বউ হিসেবে এতে দোষের কিছু নেই কারণ সুন্দরী বউ পাওয়ার আসা সব পুরুষেরই থাকে। তবে আসল কথা হল সব ঘরে তো আর মাধুরী দীক্ষিতের মতো সুন্দরী মেয়ে জন্মায় না। নিজেকেও বিচার করুন নিজের জায়গায় ও সুন্দরের আগে দেখুন মনমানসিকতা, আচার-ব্যাবহার, শালীনতা।

২। আজকাল যৌতুক চাওয়ার রীতিটা আমাদের সমাজে নেই বললেই চলে। কিন্তু আবার থাকতেও পারে যাকে বলা হয় উপহার। এমন কোন উপহার এর আবদার করা উচিত না যাতে আপনার ও পরিবারের ইমেজ পাত্রীর পরিবারের কাছে নষ্ট হয়ে যায়। এরকম মনোভাব থাকলে পাত্রী আপনাকে অবশ্যই লোভী মনে করবে। তখন ভালোবাসার ব্যাপারটা মোটেই সহজ হবে না।

৩। অনেক পুরুষই আছেন উপার্জন কম হওয়াতে বিয়ে করতে ভয় পেয়ে থাকেন। মনে রাখবেন টাকা দিয়ে সম্পর্ক তৈরি হয়না। তাহলে তো সব ধনী মানুষেরাই বিবাহিত জীবনে সুখী হত।

৪। পড়াশুনা কম জানেন বলে বিয়ে করবেন না, এটা ঠিক নয়। কিন্তু যেখানেই পাত্রী দেখতে যান না কেন নিজে শিক্ষাগত যোগ্যতা লুকাবেন না। নিজের জীবনের সত্যটাই বলুন ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। বিয়ে তো আর পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট নয় যে তা দেখিয়ে বিয়ে করতে হবে। অনেক অল্প শিক্ষিত পুরুষই বিবাহিত জীবনে সুখী। ভালো স্বামী হওয়ার জন্য যে অনেক বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। যদি এ নিয়ে হীনমন্যতা কাজ করে তা এখন থেকেই কাটাতে চেষ্টা করুন।



মন্তব্য চালু নেই