জেনে নিন, বিয়েতে যে ১২টি গুরুতর ভুল করেন নারীরা!

নতুন একজন মানুষ ও নতুন একটি পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতে গেলে অনেক বিষয়েই নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কিছু না কিছু ছাড় তো দিতেই হবে। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক হল- এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে সকলেই নারীদের উপরই দোষটা চাপাতে চান। নারীদের ১২টি ভুলের কারণেই তাদের উপরই দোষ চাপানোর এই প্রবণতা দেখা যায়। নারীরা যে ভুলগুলো করেন-

১. নতুন পরিবারের মূল্যবোধ সম্পর্কে না জানা: নারীরা বিয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় যে ভূলটি করেন তা হল নতুন পরিবারের মূল্যবোধ সম্পর্কে না জানা এবং নিজের সামর্থ্যগুলো ঠিকঠাকমতো প্রদর্শন না করা।

২. খুব বেশি ত্যাগ স্বীকার করা: বিয়ে মূলত একটি দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি খালি নিজেই সব উজাড় করে দিতে থাকেন কিন্তু তার দিক থেকে কোনো যথাযথ প্রতিদান না পান তাহলে বুঝে নিবেন আপনি ভূল জায়গায় সম্পর্ক করছেন।

৩. নিজের সুখের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া: এমন একজন জীবন সঙ্গী পাওয়াটা খুবই সৌভাগ্যের বিষয় যে ঠিকঠাক জানে কীসে আপনি সুখি হন। কিন্তু নিজের সুখের জন্য পুরুষ সঙ্গীর উপর পুরোপুরি নির্ভর করাটা হবে মারাত্মক ভুল। এতে আপনি কখনোই সুখি হতে পারবেন না।

৪. আবেগগতভাবে অতিবেশি পরনির্ভরশীলতা: আপনি কর্মজীবি বা গৃহীনি যাই হোন না কেন আবেগগত দিকে থেকে অতি বেশি পরনির্ভরশীলতা আপনার জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে। সূতরাং আবেগগত দিক থেকে আপনাকে অবশ্যই আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।

৫. অতিচিন্তা: এমন অনেক কিছুই আছে সবসময়ই যেগুলোর কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। সূতরাং সব বিষয় নিয়েই অতি বেশি বিশ্লেষণী প্রবণতা ত্যাগ করুন। কিছু বিষয়ে মাথা ঘামানোর একদমই কোনো দরকার নেই।

৬. অতি অপরাধবোধে ভোগা: অপরাধবোধ সংশ্লিষ্ট অতিসক্রিয় হরমোনগুলোকে এবার একটু বিশ্রাম দিন এবং সবকিছু নিয়েই অপরাধবোধে ভোগা বন্ধ করুন। প্রতিনিয়ত অপরাধবোধে ভোগার ফলে আপনার মাঝে অযাচিত মানসিক চাপ সৃষ্টি এবং সম্পর্কে জটিলতা বাড়বে।

৭. পরস্পরকে যথেষ্ট ব্যক্তিগত স্পেস না দেওয়া: কোনো কাজ দু’জনে মিলেমিশে করাটাই সর্বোত্তম পন্থা। তবে তাই বলে নিজেদের ব্যক্তিগত জায়গাটা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়াও ঠিক হবে না।

৮. গোঁ ধরা: ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হবে এই নীতি সবসময়ই সুফল নাও বয়ে আনতে পারে। সূতরাং পুরোনো ঝগড়ার ইস্যু নিয়ে গোঁ ধরে বসে না থাকাই ভালো। পুরোনো ঝগড়াঝাটি ও ভুল বুঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়াটাই সম্পর্কের জন্য স্বাস্থ্যকর।

৯. প্রচলিত সুখের ধারণাকে একমাত্র সুখ মনে করা: প্রতিটি যুগলেরই সুখি হওয়ার নিজস্ব উপায় আছে। সূতরাং প্রচলিত ও গতানুগতিক সুখের ধারণার পেছনে না ছুটে বরং নিজস্ব প্রক্রিয়াতেই সুখি হওয়ার চেষ্টা করুন।

১০. নিজের স্বপ্নগুলো সব বিসর্জন দেওয়া: নারীরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেক বেশি উৎসর্গপ্রবণ হয়। ফলে তারা প্রায়ই সম্পর্কের জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত স্বপ্ন ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো বিসর্জন দেয়। এটা মারাত্মক একটি ভুল।

১১. যথেষ্ট ভরসা করতে না পারা: আপনি যদি আপনার পুরুষটির উপর পুরোপুরি আস্থা রাখতে নাই পারেন তাহলে তার সঙ্গে আজীবন সম্পর্কে না জড়ানোটাই উত্তম হবে।

১২. অসাড় আগ্রাসন: আপনার পুরুষ সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করল কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা। উত্তরে আপনি কিছুই বললেন না। কিন্তু এরপর আপনি প্রত্যাশা করলেন সমস্যাটা সে নিজেই নিজেই সব বুঝে নিক! এটা কিন্তু অতিবেশি নাটুকেপনা হয়ে যায়। আপনি বরং আপনার সমস্যাগুলোর কথা তাকে সবসময়ই খুলে বলার চেষ্টা করুন এবং নাটকীয়তা পরিহার করুন। তাহলেই দেখবেন সবকিছু অনেক সহজ হয়ে গেছে।



মন্তব্য চালু নেই