জেনে নিন ফরাসি সুন্দরীদের রূপের রহস্য!
সৌন্দর্য ও ফ্যাশনের লীলাভূমি হচ্ছে ফ্রান্স। কিন্তু তাই বলে এটা ভেবে বসবেন না যে, ফ্রান্সের নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ফরাসি নারীরা তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে থাকেন বেশি! তাদের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে দাদীমাদের অর্থাৎ প্রাচীন রূপের রহস্য যা তারা আজও অনুসরণ করেন। ফরাসি সুন্দরীরা সাধারণত খুবই কম মেকআপ নিয়ে থাকেন এবং ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করার জন্য তারা সব সময় হ্যাট বা ছাতা ব্যবহার করে। আসুন আজ জেনে নেই ফরাসি রমণীদের সৌন্দর্য চর্চার আরো কিছু বিষয়।
১। প্রথাগত সৌন্দর্য পদ্ধতি অনুসরণ করে
ফ্রান্সের মানুষ ছোট বেলা থেকেই পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের থেকে সৌন্দর্যের বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন যেমন- তারা ঘুমানোর আগে ভালোভাবে মুখ ধোন। তারা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করেন, যেমন- চোখের উপর শশার টুকরা ১৫ মিনিট দিয়ে রাখা, স্ট্রবেরি ও মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করা ইত্যাদি। তারা চুল ধোয়ার জন্য ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে এবং চুলের উজ্জ্বলতার জন্য লেবু বা ভিনেগার ব্যবহার করে।
২। ঘুমানোর আগের সৌন্দর্য চর্চা
রাতের বেলায় মানুষ যখন ঘুমায় তখন ত্বক তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কাজ করে এবং পুনর্জীবিত হয়। ফ্রান্সের রমণীরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ক্লিঞ্জিং ও স্ক্রাবিং করে এবং ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল ইত্যাদি ব্যবহার করেন।
৩। চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করে না
ফ্রান্সের রমণীরা চুল ধোয়ার পর প্রাকৃতিক ভাবে শুকিয়ে নেন, তারা কখনোই ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকান না। কারণ ড্রায়ার দিয়ে চুল শোকালে চুল ভঙ্গুর, শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যায়।
৪। প্রচুর পানি পান করে
সার্বিক স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য পানির অপরিহার্যতাকে ফ্রান্সের রমণীরা খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে বলে সব সময় হাইড্রেটেড থাকেন। তারা পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি প্রায়ই মুখে পানির ছিটা দেন।
৫। ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে
ফ্রান্সের মেয়েরা সব সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করেন। এর ফলে তাদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও তরতাজা দেখায়। রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুখে গোলাপি আভা দেখা যায়।
৬। রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করে
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ফরাসি মেয়েরা সব সময় ছাতা ব্যবহার করেন এবং বড় হ্যাট ব্যবহার করে। এজন্য তাদের বলিরেখা পড়েনা। তারা বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিনও ব্যবহার করেন।
৭। পাতলা দেহের জন্য তাদের কোন ঘোর কাজ করেনা
ফরাসি মেয়েরা সুস্থ ও সুখি জীবনে বিশ্বাস করে। তারা সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও খাবারকে উপভোগ করেন। পরিবারের সবার সাথে খাবার গ্রহণ করে। তারা ভোজনের সময় অনেক বেশি স্ন্যাক্স খান না। তারা তাজা ফলমূল, আস্ত শস্যদানা, অলিভ অয়েল, মাছ, মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার খান বেশি। তাদের ওজন বৃদ্ধি পেলেও তারা জিমে যান না বরং সাধারণ এক্সারসাইজ যেমন- হাঁটা, দৌড়ানো ও এরোবিকস ইত্যাদি নিয়মিত করেন।
৮। বেশি মেকআপ করেন না
ফ্রান্সের মেয়েরা খুব বেশি মেকআপ করেন না কারণ তারা “ন্যাচারাল বিউটি” কথাটিতে বিশ্বাস করে। তাদের মেকআপ হয় “Done but not done look” এই বিখ্যাত উক্তিটির মতোই। আসলে স্বাস্থ্যবান উজ্জ্বল ত্বকের জন্য তেমন কোন মেকআপের প্রয়োজন হয় না।
এছাড়াও ফরাসি সুন্দরীরা তাদের সৌন্দর্যের জন্য যে কাজ গুলো করেন- প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন না, সব সময় পারফিউম ব্যবহার করেন, হাত পরিষ্কার করা ছাড়া মুখে হাত লাগান না, শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ান ইত্যাদি।
মন্তব্য চালু নেই