জেনে নিন নিম্ন রক্তচাপ সমস্যার প্রধান লক্ষণ সমূহ
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা জনিত রোগ সম্পর্কে আমরা সকলেই বেশ ভালো করেই জানি। কিন্তু আপনি জানেন কি উচ্চ রক্তচাপ যেমন দেহের জন্য খারাপ তেমনই নিম্ন রক্তচাপের কারণেও দেহে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সকলেরই সতর্ক হওয়া উচিত।
যখন রক্তচাপ অর্থাৎ রক্তের সিস্টোলিক চাপ ৯০ মি.মি.পারদ এর নিচে এবং ডায়াস্টলিক চাপ ৬০ মি.মি. এর নিচে থাকে তখনই তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। যাদের রক্তচাপ অস্বাভাবিক হারে নিয়মিত কম থাকে তাদের হৃদপিণ্ডে, মস্তিষ্কে এবং নার্ভের সমস্যা দেখা দেয়। এবং এই নিম্ন রক্তচাপ অনেকদিন ধরে থাকলে মস্তিষ্ক এবং দেহের অন্যান্য অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কম হয়। যার কারণে মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গে অক্সিজেন এবং পুষ্টির অভাব অতিরিক্ত মাত্রায় হতে থাকে। এতে করে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই নিম্ন রক্তচাপকে অবহেলা করবেন না একেবারেই।
কিন্তু অনেকেই নিম্ন রক্তচাপের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেন না। আর একারণেই অনেক সময় এর মারাত্মক লক্ষণগুলো নজর এড়িয়ে যায়। যদি প্রথমিক অবস্থায় নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা লক্ষণ দেখে নির্ণয় করা সম্ভব হয় অর্থাৎ অনেকটা দিন নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা না থাকে তাহলে রোগী সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন। সুতরাং নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণগুলো জেনে নেয়া উচিত।
১) নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ হাইপোটেনশনের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হচ্ছে মাথা ঘোরানো ও চোখে ঘোলা দেখা।
২) রক্তচাপ অনেক কম হলে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেনের অভাবে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেবে।
৩) প্রচণ্ড বুকে ব্যথা থাকবে।
৪) স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেবেন।
৫) হার্টবিট রেট উঠানামা করবে অর্থাৎ অনিয়মিত হার্টবিট রেট হবে।
৬) প্রায়ই জ্বর থাকবে। খুব বেশি নয় ১০১ ডিগ্রী ফারেনহাইটের মতো জ্বর উঠে।
৭) নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হবে।
৮) দীর্ঘদিন যাবত ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগতে দেখা যাবে।
৯) প্রচণ্ড দুর্বলতা কাজ করবে এবং অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠার সমস্যা দেখা দেবে।
১০) রক্তের সিস্টোলিক চাপ ৯০ মি.মি.পারদ এর নিচে এবং ডায়াস্টলিক চাপ ৬০ মি.মি. এর নিচে থাকবে বেশ কিছুদিন ধরে।
সূত্রঃ mayoclinic ও উইকিপিডিয়া
মন্তব্য চালু নেই