জেনে নিন নারীদের নারীসুলভ আচরণগুলো সম্পর্কে

নারী ও পুরুষের বাহ্যিক গঠনে রয়েছে বিস্তর ফারাক। কিন্তু মানসিক দিক থেকে এই পার্থক্যগুলো বেশ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম। সত্যিকার অর্থে একটি নারীর নারীসুলভ আচরণ তাকে একটি পুরুষ থেকে আলাদা করে। একজন মেয়ের মধ্যে নারীসুলভ কী কী বিষয় রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়টির সত্যিকার সমাধানগুলো কি হতে পারে!

সোশাল এন্টারটেইনিং সার্ভিস রেডিটে একজন ব্যবহারকারী অনলাইনে পরামর্শ চেয়ে এমনি একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন। তা হলো-‘আমি যদি হঠাৎ করেই আগামীকাল মেয়ে হয়ে যাই তাহলে কী হবে?’ এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ৯ হাজারেরও বেশি নারী। তাদের পরামর্শ হলো, মেয়ে হয়ে গেলে আপনি একটি চকোলেটের দোকানের আশপাশে থাকুন আর যথেষ্ট পরিমাণ প্যাড মজুদ করুন। পুরুষদের মাঝে নারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার বিষয়ে আগ্রহের কমতি নেই। চকোলেট প্রীতি আর ঋতুস্রাব দিয়েই নারীদের আলাদা করা যায় না। তাদের মধ্যে রয়েছে আরো অনেক কিছু যা দিয়ে তাদেরকে সত্যিকারের আলাদা করা যায়। একজন নারীকে আপনি যদি শুধু তাদের বাহ্যিক অবয়বের তুলনায় পুরুষদের সাথে পার্থক্য করতে পারবেন না কেননা সারাবিশ্বে নারীরা তাদের এই বাহ্যিক গঠন নিয়েই পুরুষদের সাথে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কর্মক্ষমতা নিয়ে আপনি কোন সন্দেহ প্রকাশ করতে পারবেন না যে তারা পুরুষের চেয়ে কম কাজ করে কিংবা বুদ্ধিমত্তায় কম। সত্যিকার অর্থে নারী আর পুরুষের পার্থক্য হলো তাদের মানসিকতার ক্ষেত্রে। গ্রীক পুরাণ অনুযায়ী নারী হলো কোমলতা আর উর্বরতার প্রতীক। সত্যিই নারীর ভেতর বাস করে আরেকটি কোমল সত্তা। দি ইনডিপেন্ডেন্টের রিপোর্টার ও এডিটোরিয়াল অ্যাসিস্টেন্ট কোল হ্যামিলটন নারীকে তুলে এনেছেন সম্পূর্ণ অন্যদৃষ্টিতে। কোল হ্যামিল্টন লিখেছেন, তাই যদি একদিন সকালে উঠে দেখেন যে আপনি মেয়ে হয়ে গেছেন, তাহলে প্রথমেই নতুন দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটু গবেষণা করুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দেহের প্রতিটি ইঞ্চি পর্যবেক্ষণ করুন, প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি ত্বকের ভাঁজ ইত্যাদি। কারণ বাসা থেকে বের হওয়া মাত্রই শুধু পুরুষই নয়, নারীরাও আপনাকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকবেন। অনুভব করুন, আগে দেহের যেখানে কোণ আকৃতি ছিলো সেখানে এখন হয়েছে বাঁক। শক্ত এবং রুক্ষ স্থানগুলো হয়েছে কোমল ও মসৃণ। দেহের কিছু অংশ যেখানে অনেক লোম ছিল, তা হয়েছে লোমহীন। নারী হওয়ার আরেকটি দারুণ বিষয় হলো, দেহের যাবতীয় সৌন্দর্যহানীকর অংশগুলোকে আধুনিক প্রসাধন দিয়ে ঢেকে ফেলতে পারবেন। আরেকটি বাজে বিষয় হলো, আপনার সৌন্দর্য নিয়ে নানা গবেষণা চালাবে মানুষ। বিভিন্নভাবে সৌন্দর্যকে সংজ্ঞায়িত করে আপনার মনকে খারাপ করে দেবে মিডিয়া। তাই সার্বিক চেষ্টা করুন এসব থেকে দূরে থাকতে।

মেয়েদের ঋতুঘটিত বিষয়টি অন্যগুলো মতোই প্রাকৃতিক। তাই এই বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে সব সময়। বিশেষ করে যে সময় থেকে আপনার পিরিয়ড শুরু হবে তার আগে বাড়িতে প্যাড কিনে না রাখলে মহাবিপদ আপনার। যখন পুরুষতান্ত্রিক কোনো পরিবেশে কাজ করবেন, তখন অন্য যে কেউ আপনাকে দেখলে কারো না কারো সেক্রেটারি বলে মনে করবে। পুরুষ থাকা অবস্থায় হয়তো অন্য নারীদের নিয়ে রসিকতা করতেন। কিন্তু এখন আপনার দেহের নানা অঙ্গ অন্য পুরুষদের রসিকতার খোরাক হবে। এসব ঘটনায় প্রতিবাদী হওয়ার জন্যেও আপনাকে শক্ত হতে হবে। সন্তানের জন্ম দেওয়ার আনন্দ আপনিই উপভোগ করবেন। কিন্তু একজন ঔদ্ধত্যপূর্ণ সন্তান ভবিষ্যতে আপনার কষ্টের কারণ হতে পারে।

যদি সত্যিই সকালে উঠে দেখেন যে নারী হয়ে গেছেন তাহলে মনে রাখবেন, দুজন নারী এক রকম নন। তবে সব নারীই প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি। গ্রীক দেবতা পার্সিয়াস তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন, এই ভালোবাসার জন্য তিনি স্বর্গ ছেড়ে পৃথিবীতে স্ত্রী সন্তানদের সাথে থাকতেন। নারী সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, নারী হলো পৃথিবীর অপরূপ সৃষ্টিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অপরূপ।



মন্তব্য চালু নেই