জেনে নিন দুনিয়ার সবচেয়ে দামী কফি কিভাবে তৈরি হয়, জানার পর আপনি নাও খেতে পারেন!

আইভরি কফি, পৃথিবীর সবথেকে দামী কফি। ঠোঁটে একবার ছোঁয়ালে তার স্বাদ ভুলতে পারবেন না আমৃত্যু। কিন্তু এই মহার্ঘ্য কফি কিভাবে তৈরী হয় তা জানলে হয়ত কফির স্বাদ দ্বিতীয়বার নিতে চাইবেন না। কারণ এই আইভরির কফির স্বাদের পিছনে রয়েছে হাতির মলের অবদান। হাতির বিষ্ঠা থেকেই তৈরি হয় দুর্মূল্য ও বিশেষ স্বাদের এই কফি।

থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল অঞ্চলে এই কফি তৈরী করে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া হাতিরা। প্রথমে নানা রকম ফলের সঙ্গে কফির দানা মিশিয়ে খাওয়ানো হয় হাতিকে। তিনদিন ধরে হাতির পেটে থাকার হওযার পর বিষ্ঠার সঙ্গে বেরিয়ে আসে সেই কফির দানা। পরে ওই কফির দানা ধুয়ে, শুকিয়ে, রোস্ট করে তৈরি হয় বিশেষ এই কফি।

৪৪ বছরের কানাডার ব্যবসায়ী ব্লেক দিনকিন জানিয়েছেন, ৩৩ পাউন্ড কফির দানা থেকে মাত্র ১ পাউন্ড কফি পাউডার তৈরি করা সম্ভব।coffe_140006

আইভরি কফির কদরের বিষয়ে দিনকিনের জানান, হাতির মত তৃণভোজী প্রানীদের খাদ্য পেটে গেঁজে তৈরী হয় সেলুলোজ। এই কফি বা বিয়ারের ক্ষেত্রে ‘গাঁজানো’ ব্যাপারটি খুবই জরুরি। এর ফলে কফির বীজে মিষ্টতা আসে। গাঁজানোর ফলে কফির তিক্তভাব কেটে মিষ্টতা আসে। এই জন্যই আইভরি কফিতে আলাদা করে চিনি মেশানোর দরকার পড়ে না। কফি পাউডার তৈরির আগে কফি বিনের গন্ধটা অনেকটা ফুলেল ও চকোলেটের মিশ্রিত গন্ধের মত এবং স্বাদে তা চকোলেট মল্ট ও চেরির মিশ্রনের মত।

আর এক প্রকার কফি তৈরি হয় ইন্দোনেশিয়ায়। এখানে হাতির পরিবর্তে অন্য এক প্রানী ব্যবহার করা হয়। লুয়াক (Luwak) নামের বিড়ালসদৃশ একটি প্রাণীকে কফিবেরি খাওয়ানো হয় এবং তাদের মলের সঙ্গে আস্ত কফিবেরি বেরিয়ে আসে। এ পক্রিয়ায় কফিবেরির তিতা ভাবটা কমে এবং সুঘ্রাণযুক্ত হয়। এভাবে প্রাপ্ত কফিবেরি থেকে যে কফি তৈরি হয়, তা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কফি। প্রতি কাপ কফির দাম বাংলাদেশি টাকার হিসাবে ২ হাজার ৫০০ টাকা।



মন্তব্য চালু নেই