জেনে নিন কিভাবে কর্মব্যস্ততায় ধ্বংস হচ্ছে দাম্পত্য জীবন

হতে পারে আপনি কাজপাগল মানুষ। কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। এ ছাড়া আরো নানা কারণে ব্যক্তিগত বা দাম্পত্য জীবনটা পেরেশান হতে পারে পেশা জীবনের চাপে। তাই কর্শজীবন আর ব্যক্তিগত বা সংসার জীবনকে পৃথক রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। ব্রিটেনের ন্যাশনাল ওয়ার্কপ্লেস এক্সপার্ট লিন টেইলর জানান, যেহেতু দিনের বড় একটা সময় আমরা কর্মক্ষেত্রে কাটাই, কাজেই এ জীবনের প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে পড়াটাই স্বাভাবিক। নিয়ন্ত্রণ না আনলে ক্রমেই ব্যর্থ হতে পারে দাম্পত্য জীবন। এখানে বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন বেশ কিছু লক্ষণের কথা। এদের চিনে নিন। বুঝে নিন, পেশার কারণে আপনার দাম্পত্য জীবন ভাঙতে চলেছে।

১. ভেবে দেখুন, আপনি কি কর্মজীবনকে সম্পর্কের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন? কাজের কারণে আপনি সহজেই স্ত্রীকে সময় দেওয়া, তাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া বা সিনেমা দেখা, নিমন্ত্রণে যাওয়া ইত্যাদি এড়িয়ে যান। যদি তাই হয়, আপনার দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটতে পারে।

২. কাজ থেকে ফিরে আপনি দারুণ ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তখন বিশ্রাম বা ঘুমানো ছাড়া আপনার আর কিছুই ভালো লাগে। স্ত্রীকে সময় দিতে পারেন না। এমটা হলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে বাধ্য।

৩. কাজ করেন আপনি, কিন্তু এ বিষয়ে স্ত্রীকে পরামর্শদাতা বানিয়ে ফেলেছেন। কর্মক্ষেত্রের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আপনি স্ত্রীর কাছ থেকে বুদ্ধি নিয়ে থাকেন। এ কারণেও দাম্পত্য জীবন হুমকির মুখে পড়ে।

৪. স্ত্রীর সঙ্গে ক্যারিয়ার বিষয়ক কথা ছাড়া আপনার আর কোনো আলাপ নেই। আপনি কথা বলার অন্য কোনো উপলক্ষ খুঁজে পান না। ব্যক্তিগত জীবনের কোনো আলাপচারিতা আপনার মাঝে নেই। এসব নিয়ে ভালো কথা হলেও এক সময় সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে।

৫. বাড়ির কোনো অনুষ্ঠান বা বিবাহবার্ষিকী বা অন্য যেকোনো আয়োজনে আপনি আসতে পারেন না। আবার অধিকাংশ সময়ে দেরি করে উপস্থিত হন। কারণ একমাত্র কাজ।

৬. হয়তো আপনার ব্যস্তার কারণে স্ত্রীকে কোনো অনুষ্ঠানে একা যেতে হলো। বাড়ি ফিরে কেমন অনুষ্ঠান হলো তা জিজ্ঞাসা করলেন। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আপনার তুমুল ব্যস্ততাকে দোষারোপ করে কিছু না কিছু বলবেন। এগুলো তিক্ত সম্পর্কের লক্ষণ।

৭. খুব ঘন ঘন যেকোনো বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আপনার বসচা হয়ে চলেছে। বেশিরভাগটাই আপনার কাজের চাপ এবং অফিস বিষয়ক।

৮. ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলতে গেলে বা অন্তরঙ্গ মুহূর্তে স্ত্রীর আচরণ যদি আত্মরক্ষামূলক হয়, বুঝে নিতে হবে তিনি আপনার ব্যস্ততায় পেরেশান হয়ে গেছেন। সম্পর্কটাও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

৯. কর্মজীবনে নতুন কিছু ঘটতে পারে। বেতন বৃদ্ধি, প্রমোশন বা নতুন বস ইত্যাদি। এসব কিছু কথা উঠলেই আপনি চরম প্রতিক্রিয়া দেখান। অথচ এসব নিয়ে এর আগে কখনো বিতর্ক করেননি আপনি।

১০. অফিস বিষয়ে স্ত্রী কিছু বলতে গেলে ধৈর্য্য হারান আপনি। হয়তো স্ত্রী আপনার সহযোগী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ সংকান্ত বিষয় আপনার সহ্য হয় না

১১. যদি মনে করেন আপনি সমাজ থেকে বহু দূরের কেউ, তবে তা স্ত্রী উপলব্ধি করতে পারেন। বাড়ি ফেরার পরও যদি কাজ নিয়ে পড়ে থাকতে হয় তবে তা মেনে নিতে পারেন না স্ত্রী। এ ক্ষেত্রে সমাজ ও সংসার নিয়ে একা পড়ে থাকতে পারেন না আপনার স্ত্রী।

১২. হঠাৎ খেয়াল করলেন ব্যস্ততা নিয়ে যত কথাই বলেন না কেন, তাতে কান দেন না স্ত্রী। অর্থাৎ এ বিষয়ে কথা শুনতে আর ভালো লাগে না তার। আপনার বহু গুরুত্বপূর্ণ কথাও তার কাছে বিরক্তিকর। মূলত আপনার অতি ব্যস্ততা তার আর ভালো লাগে না।



মন্তব্য চালু নেই