জেনে নিন কতদিন বাঁচবেন (ভিডিও)
আর কত সময় বেঁচে থাকবেন তা জানার আগ্রহটা প্রায় সবারই। আর এ জন্য অবশ্য অনেকেই লাইন ধরেন জ্যোতিষির চেম্বারে। কিন্তু সেই ভবিষ্যৎবাণী তো আন্দাজের ওপর হয়। অথচ আপনি নিজেই জানতে পারবেন কত বছর বেঁচে থাকবেন এ পৃথিবীর বুকে। তাও আবার ঘরে বসেই।
তার জন্য আপনাকে কয়েকবার ‘ওঠা-বসা’ করেতে হবে। হ্যাঁ সত্যি বলছি, মানুষের আয়ু নির্ধারণ করার জন্য চিকিৎসকরা এক সহজ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। যাকে বলা হয়, সিআরটি অর্থাৎ ‘সিটিং-রাইজিং টেস্ট’। এই টেস্টেই জানা যাবে একজন মানুষ কতদিন বাঁচবেন!
এবার আসা যাক সেই টেস্ট আপনি কীভাবে করবেন। প্রথমে বাঁ পায়ের উপর ডান পাকে আঁড়াআড়ি করে মাটিতে বসতে হবে। এরপর এই অবস্থা থেকে দ্রুত দাঁড়িয়ে উঠতে হবে। তবে এই কাজে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কোনো অবলম্বন ব্যবহার করা যাবে না। এতেই বোঝা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক দুর্বলতা ও শক্তির সঠিক পরিমাণ।
এভাবে অন্তত ১০ বার বসতে এবং তারপর উঠে দাঁড়াতে হবে। প্রতিবার ভারসাম্য হারালে খোয়া যাবে এক পয়েন্ট। যে সমস্ত মানুষ ১০-এর মধ্যে ৩ বা তার চেয়ে কম পয়েন্ট পাবেন তারা আগামী ৬ বছরের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। যারা ৮ বা তার চেয়ে বেশি পয়েন্ট পাবেন তাদের আগামী ছয় বছরে কোনো মারাত্মক অসুখের সম্ভাবনাও নেই।
২০০২ সালে ৫১ থেকে ৮০ বছর বয়সী পুরুষ ও নারী হৃদরোগীদের উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। পরীক্ষায় যারা ১০-এর মধ্যে ৩ এর নীচে নম্বর পান পরবর্তী ৬ বছরে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রবল থাকে। এবং হয়েছেও তাই।
তবে এই পরীক্ষা সাধারণত ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতো। ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেইরোর গামা ফিলহো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্লদিও গিল আরাউখোসহ একদল গবেষক এই পরীক্ষায় মাধ্যমে রোগীর শরীরের পেশি শক্তি বৃদ্ধি এবং শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাদের মতে, শারীরিক শক্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বৃদ্ধি হবে। এককথায় এসআরটির মাধ্যমে রোগীর শারীরিক দুর্বলতা পরিস্ফূট হবে।
মন্তব্য চালু নেই