‘জেএমবি রক্তপাতের মাধ্যমে পরিবর্তন চায়’

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক জেএমবির সদস্যরা বলেছে, তারা রক্তপাতের মাধ্যমে পরিবর্তন চায়। মূলত, তারা জিহাদের নামে বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে নতুন করে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। আর নাশকতার জন্য তহবিল যোগাতে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে জালমুদ্রা সংগ্রহ করে জাল টাকার কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থানা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) একটি দল অভিযান চালিয়ে জেএমবির সাত সদস্যকে আটক করে। এদের মধ্যে পাকিস্তানি চারজন হলেন মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাকিল, মো. খলিলুর রহমান, ও মো. ইকবাল। আর বাংলাদেশী তিনজন হলেন মো. ফরমান আলী, মো. শহিদ ও মো. বাবুল খান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই চারজন জানিয়েছে, পাকিস্তানি চার নাগরিক বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে একাধিকবার যাতায়াত করেছে। সাধারণত পর্যটক হিসেবে কেউ এতো বেশি যাতায়াত করে না। তাদের কাছ থেকে জিহাদী বই ও ৭টি মোবাইল ফোনসেট, ৩টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট ও পাকিস্তানি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। জিহাদী বইয়ে রক্তপাতের মাধ্যমে পরিবর্তনের কথা বলা আছে।

জেএমবির সদস্যরা জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির কার্যক্রমকে সক্রিয় করে তোলার এবং দেশের ভেতরে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সমবেত হয়ে সরকার পতনের জন্য ষড়যন্ত্রমুলক কাজ করার পরিকল্পনা করছিলো। তারই অংশ হিসেবে নতুন সদস্য সংগ্রহ, জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল।

পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জানান, আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে এনে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারা কোথায় প্রশিক্ষণ দিতো, কারা অর্থ সরবরাহ করত, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত কিনা সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মনিরুল ইসলাম আরো জানান, জেএমবির বর্তমান প্রধান সাইদুর রহমান জেলে থাকায় এরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, আটককৃতরা একটি গ্রুপের সদস্য।



মন্তব্য চালু নেই