জীবন বাঁচাতে পারে ৪ কৌশল। আসুন জেনে নিই….

১. রক্তপাত নিরাপদ করা

খুব বেশি কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধে আমরা প্রায়ই ক্ষতস্থান কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিই। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। এ কাজটি তখনই করতে হয় যখন রক্তপাতে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। অন্যথায় ক্ষতস্থান স্টেরিল গজ দিয়ে হালকাভাবে চেপে ধরুন।

২. আঘাতপ্রাপ্তকে স্থির রাখুন
ধরা যাক, কেউ আঘাত পেয়ে পড়ে গেছে। বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায়, আশপাশের লোকজন তাকে তোলার পর হাঁটাচলা করতে বলে। কিন্তু এতে তার ক্ষতির মাত্রা আরো বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন, আগে বুঝতে হবে আঘাতটা কোথায় লেগেছে এবং তার মাত্রা কতটুকু।

৩. ‘ব্যাক ব্লো’ ও ‘হেইমলিচ থ্রাস্ট’
হঠাৎ কিছু গিলে ফেলায় প্রায়ই নিঃশ্বাস আটকে যায়। রেড ক্রসের পরামর্শ, এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রথমেই ‘ব্যাক ব্লো’ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। এ পদ্ধতিতে প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে ঝোঁকাতে হবে। এবার তার ঘাড়ের ঠিক নিচের অংশে হাড়ের মাঝখানে হাতের তালু দিয়ে পর পর চার থেকে পাঁচবার আঘাত করুন। এতে কাজ না হলে ‘হেইমলিচ থ্রাস্ট’ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির পেছনে দাঁড়িয়ে দুই হাত দিয়ে তার নাভি বরাবর জড়িয়ে ধরুন। এরপর ওপরের দিকে কয়েকবার চাপ দিন।

৪. অ্যাসপিরিনের ব্যবহার
হার্ট অ্যাটাকের সময় রক্তকণিকা ও প্লেটলেট আক্রান্ত অংশের দিকে ছোটে। রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং ব্লকেজের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। অ্যাসপিরিন রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। কাজেই কেউ হার্ট অ্যাটাক করলে প্রথমেই হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। এর পরই তাকে একটা অ্যাসপিরিন দিতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই