দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জিয়া নাশতার টেবিলে বসেও মৃত্যুদণ্ডে সই দিতো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘লোকে বলে জিয়া নাশতার টেবিলে বসেও মৃত্যুদণ্ডে সই দিতো। তার কোনো অসুবিধা হতো না।’

দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়।

জিয়ার সমালোচনা করে হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯টা ক্যু হয়েছিলো। প্রতি রাতে ৮/১০ করে ফাঁসি দিতো। ফায়ারিং স্কোয়াডে দিয়ে মারতো। একটার পর একটা ক্যু হতো, আর আর্মি অফিসার মারতো। লোকে বলে জিয়া নাশতার টেবিলে বসেও মৃত্যুদণ্ডে সই দিতো। তার কোনো অসুবিধা হতো না।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই এদেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, রাজাকার ও আলবদরদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। জিয়া নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেছিল। তাহলে সে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারীদের পক্ষ নিয়েছিলো?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারদের জিয়াই তো প্রতিষ্ঠিত করে। জিয়াই এদের হাতে পতাকা তুলে দেয়। আর তার স্ত্রী নিজামী, মুজাহিদদের মন্ত্রী বানায়। এরাই আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় বিএনপি জামায়াত একজোট হয়ে নির্বাচন বানচাল করার নামে যে ধরনের জঘন্য কার্যক্রম করেছিলো সেটা আমরা দেখেছি। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটা দুর্ভাগ্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশিরাও আমাদের দেশে বেশি বেশি নাক গলায়। আমরাও তাদের পাত্তা দেই। যারা পার্লামেন্টে নেই, শুধু রাজনৈতিক দল তাদের তো কোনো অস্তিত্বই নেই। যে বিরোধীদল ভাতা নেয়ার জন্য, কমিটিতে বসে টাকা নেয়ার জন্য বিরোধীদল, সুযোগ সুবিধা নেয়ার জন্য, কিন্তু পার্লামেন্টে বসবে না। ৪১৮ দিন নবম সংসদের কার্যদিবস ছিলো। বিরোধীদলের নেতা মোটে ১০ দিন পার্লামেন্টে। এর মধ্যে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন সাড়ে ৭ ঘণ্টার মতো। সেই বিরোধীদল থাকলে আর না থাকলেই কী আসে যায়। তাদের জন্য অনেকের যে কান্নাকাটি কেন, সেটা আমি বুঝি না।’



মন্তব্য করুন