জিয়ার সমাধিতেও বেপরোয়া বিএনপি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই শেরে বাংলা নগরস্থ জিয়ার সমাধিতে জড়ো হতে থাকেন হাজারো নেতাকর্মীরা। তবে শোকাবহ এ দিনটিতেও শৃঙ্খলা দেখাতে পারেননি তারা। নেতাকর্মীদের বেপরোয়া আচরণে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা অপদস্থ হয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা নিবেদনকে কেন্দ্র করে সকাল ৯টা থেকেই সমাধিস্থলে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় স্বামীর সমাধিস্থলে খালেদা জিয়া পৌঁছানোর পর বেপরোয়া হয়ে উঠেন নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খলতার কারণে খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেননি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অালমগীর। এছাড়া ভাইস চেয়ারমান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনও খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারেননি।

অন্যদিকে, সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মোনাজাতের সময়ও বিব্রত অবস্থান পড়েন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে।

দেখা গেছে, খালেদা জিয়ার পাশে বা সামনে কোনভাবেই আসতে না পেরে মহিলা দলের এক নেত্রীকে নিজ হাতে ধাক্কা দিয়ে সরাতে বাধ্য হন মির্জা আব্বাস। এমনকি মোনাজাতস্থলে দলটির নেতাকর্মীদের বেপরোয়া আচরণের কারণে অনেক নেতাকেই খালেদা দূরে দাঁড়িয়েই মোনাজাতে অংশ নেন।

সম্প্রতি বিএনপির যে কোনো অনুষ্ঠানে দলটির নেতাকর্মীদের বেপরোয়া আচরণের কারণে শীর্ষ নেতাদের অপদস্থ হওয়ার চিত্র স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, আজকের আবহাওয়া খুবই উত্তপ্ত, পাশাপাশি সরকারের স্বৈরাচারী আরচণে নেতাকর্মীরা অতিষ্ট। শোকাবহ দিন হলেও নানা পরিস্থিতির কারণেই এসব অনুষ্ঠানে ছোটখাট বিশৃঙ্খলা হয়।

তিনি আরো বলেন, বড় দলের এসব ঘটনা ঘটেই। আওয়ামী লীগেও এমন পরিস্থিতি ঘটে। তবে আমি মনে করি সিনিয়র নেতাদেরকে জুনিয়র নেতাদের যথাযথ সন্মান দেখানো উচিত।



মন্তব্য চালু নেই