জিয়ার মরণোত্তর শাস্তি হওয়া উচিত
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর শাস্তি হবে বলে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘জিয়া সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুজিবনগর সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। যুদ্ধচলাকালে খন্দকার মুস্তাক ও জিয়া বঙ্গবন্ধুকে জেল থেকে মুক্তির টোপ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধকে বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছিল। এছাড়া ক্ষমতায় থাকাবস্থায় জিয়া বিচারের নামে অসংখ্য দেশ প্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। তাই একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কমিশন গঠন করে জিয়ার মরণোত্তর শাস্তি হওয়া উচিত।’
তিনি বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতের একাত্তরে ভূমিকা তাদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামেই আছে। এজন্য আলাদা করে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজন নেই। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার কারণে জামায়াত অচিরেই নিষিদ্ধ হচ্ছে এবং তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম এ মাননানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সেন্ট্রাল কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান। এর আগে মন্ত্রী ফিতা কেটে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।
মন্তব্য চালু নেই