‘জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলিনি, প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভুঁইয়া জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলার কথা অস্বীকার করেছেন। জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলার কথা কেউ প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণাও দেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সুবিদ আলী ভুঁইয়া এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের এই সাংসদ জানান, গতকাল (১৭ আগষ্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক নিয়ে তাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি এর নিন্দা জানান।

সুবিদ আলী বলেন, ‘গতকালের বৈঠকে আলোচনার একপর্যায়ে আমি বলি, মেজর জিয়া বেতার ভাষণে প্রথমে ভুল করে নিজেকে ‘হেড অব দ্য স্টেট’ ঘোষণা দিলেও পরে তিনি (জিয়া) ঘোষণায় বলেছেন, অন বিহাফ অব আওয়ার গ্রেট লিডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমি জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি কখনও বলি নাই। আমার বক্তব্যের কোনো পর্যায়েই এই ধরনের উদ্ধৃতি ছিল না।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জিয়াকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলব কেন? আমি ক্লু পাচ্ছি না। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি কীভাবে হয়? তখন তো সরকারই হয়নি।

এর মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতকে ইস্যু তৈরি করে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই বিতর্কের মাধ্যমে আমাকে এবং আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বিএনপি ও জামায়াতকে মিথ্যা ইস্যু তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।”

‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার জন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না জানতে চাইলে সুবিদ আলী বলেন, “যে যা বলুক। কে আমার সম্পর্কে কী বলল, আমি জানি না। না জেনে বলতে পারছি না। গণমাধ্যম যদি দিয়ে থাকে না জেনে দিছে। আমার খাইয়া কাজ নেই যে ব্যবস্থা নেব। রাজনীতি করলে অনেক কথা হয়।”

বুধবার সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ দাবি করেছিলেন সুবিদ আলী। ওই বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্যের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।



মন্তব্য চালু নেই