জিয়াউর রহমান সড়কের ঘোষণাপত্র নিলেন খালেদা

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জিয়াউর রহমানের নামে সড়কের যে নামকরণ করা হয়েছে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ তার ঘোষণাপত্র সোমবার গ্রহণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

শিকাগোতে জিয়াউর রহমান সড়কের উদ্ধোধন উপলক্ষে রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ‘পোস্টার উন্মোচন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রুপ-২০০৯। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শফিক রেহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দর্শক সারিতে বসে সকলের বক্তব্য শোনেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করেন খালেদা জিয়া।

শিকাগোর ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ উদ্বোধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে গিয়েছিলেন অপর উপদেষ্টা মোহাম্মদ মুশফিকুল ফজল আনসারী। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে শিকাগো সিটি কাউন্সিলের সড়কের ঘোষণাপত্র তুলে দেন। এ সংক্রান্ত একটি সিডি বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে দেন শফিক রহমান।

গ্রুপ-২০০৯ এর সদস্যরা খালেদা জিয়ার কাছে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ এর ঘোষণাপত্র হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ এ নিয়ে একটি পোস্টার উম্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে শিকাগোতে জিয়াউর রহমান সড়কের উপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষণজন্মা পুরুষ। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তিনি অক্ষয়, অজেয়। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের নাম নিশানা মুছে দেয়ার চেষ্টা চলছে। আমেরিকানরা আর কিছু যাই হোক তারা গণতন্ত্র পছন্দ করে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দিতে জানে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জিয়াউর রহমানের নামে সড়কের নামকরণের মধ্য দিয়ে। এই সম্মাননা আমাদেরকে আনন্দিত করেছে। আমি শিকাগো সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’

নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ‘জিয়াউর রহামন ওয়ে’ উল্লেখ করে অন্যতম উদ্বোধক মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘শিকাগোতে অবস্থানরত প্রবাসী দুই বাংলাদেশি সহোদর শাহ মোজাম্মেল হক নান্টু ও শাহ মোসাদ্দেকই প্রথম উদ্যোগ নেন শিকাগোতে জিয়াউর রহমানের নামে একটি সড়ক নামকরণের জন্য। এমনকি শিকাগোতে প্রতিবছর ২৫ মার্চে জিয়াউর রহমান ডে পালনের ব্যবস্থা করেন তারা।’

মুশফিকুল ফজল আনসারী আরও বলেন, ‘দুই প্রবাসী সহোদরের সহযোগিতায় আমরা শিকাগো সিটি করপোরেশনে আবেদন করি। সেই আবেদন প্রস্তাবটি সিটি কাউন্সিলে নিরঙ্কুশ সমর্থন পায়।’ তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নামে এই স্বীকৃতিকে বানচাল করতে সেখানেও নানা রকম অপচেষ্টা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এই উদ্যোগ বানচালে তিনটি মামলা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবুও সেখানকার সিটি মেয়র বলেছেন- জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশের নেতা নন। তিনি আন্তর্জাতিক মানের নেতা। আমরা কোনো ব্যক্তি বিশেষে অনুপ্রাণিত হয়ে এই স্বীকৃতি দিচ্ছি না। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও সর্বব্যাপিতা গবেষণা করে আমরা এই সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আসাদুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসেরন প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শাইরুল কবির খান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই