জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী ১৯ জানুয়ারি

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী ১৯ জানুয়ারি। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার ডাকনাম ছিল কমল।

জিয়াউর রহমান ১৯৫৩ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। একাত্তরের ২৭ মার্চ বাঙালি জাতির এক চরম সঙ্কটময় মুহূর্তে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড’ ফোর্সের প্রধান হিসেবে জিয়াউর রহমান বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লবের’ মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন। এরপর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শের ভিত্তিতে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়ে দেশে উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি এগিয়ে নিয়ে যান তিনি।

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একটি অংশের অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন।

জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছরই নানা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে দলটি।

এদিকে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশের এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মাতৃভূমির মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। পরবর্তীতে জাতির চরম সঙ্কটময় মুহূর্তে সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে শহীদ জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন।



মন্তব্য চালু নেই