জিএসপি না পেলে কারণ হবে রাজনৈতিক : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘জিএসপি সুবিধার জন্য আমাদের যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছিল ইতিমধ্যে তার সবগুলোই পূরণ হয়েছে। এরপরও যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা না দেয়, তা হবে রাজনৈতিক কারণ। তারপরও আশা করছি, আমরা শিগগিরই জিএসপি সুবিধা পাব।’
শনিবার দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়ায় ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়েই দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। মহৎ উদ্দেশ্য থাকলে পাঁচ বছরে দেশের জনগণই এতে সহযোগিতা করবে।’
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নের ধারায় গ্রামগুলো এখন শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের রপ্তানি আজকে দাঁড়িয়েছে, ৩০ দশমিক ২ বিলিয়নে। রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২২ বিলিয়নে। পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের তুলনায় সবদিক থেকেই আমরা এগিয়ে আছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে আমাদের দেশের নারীদের কর্মদক্ষতায় আমরা ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের যে রূপকল্প ঘোষণা করেছেন তা রূপান্তরিত হবেই। আমরা শিক্ষাখাতে এগিয়ে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমাদের সীমিত সম্পদই আমাদের চালিকা শক্তি। এখন বৈষম্যের হার হ্রাস পেয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের হার ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশের এলিটরা যদি উদার হন তাহলে দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তাই এক্ষেত্রে এলিটদের এগিয়ে আসতে হবে।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এদেশের ৫০ শতাংশ নারী। এই নারী পেছনে পড়ে থাকলে আমাদের ৫০ শতাংশ পুরুষ কিছুই করতে পারবে না। বর্তমান সরকার নারী শিক্ষা ও কর্মদক্ষতায় অত্যন্ত মননশীল। আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। এখন চিন্তা করতে হবে, এটিকে ৮ থেকে ১০ শতাংশে উন্নীত করা। এই প্রবৃদ্ধিতে যেতে হলে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য, কৃষক-শ্রমিকদের দক্ষতা-পরিশ্রমে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এখন আমাদের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে।’
প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. গোলাম হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই