জামায়াতের ২৮ নারী কর্মী কারাগারে

বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক জামায়াতের ২৮ নারী কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শরিফুল ইসলাম।

অন্যদিকে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে সোমবার তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলা সুষ্ঠু তদন্তে আবারও ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত শুক্রবার তাদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে মোহাম্মদপুর থানার তাজমহল রোডের ১১/৭ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীদের আটক করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মহিলা জামায়াতের শাহনাজ বেগম (সেক্রেটারি বা সভানেত্রী), নাইমা আক্তার (রোকন), উম্মে খালেদা (কর্মী), জোহরা বেগম (রোকন), সৈয়দা শাহীনা আক্তার (রোকন), উম্মে কুলসুম (সাথী), জেসমিন খান (রুকন), খোদেজা আক্তার (সাথী), সালমা হক (রোকন), সাকিয়া তাসলিম (রোকন), সেলিমা সুলতানা সুইটি (রোকন), হাফসা (রোকন), আকলিমা ফেরদৌস (রোকন), রোকসানা বেগম (সদস্য), আফসানা মিমি (কর্মী), শরীফা আক্তার (সদস্য), রুবিনা আক্তার (রোকন), তাসলিমা (সদস্য), আসমা খাতুন (রোকন), সুফিয়া (সমর্থক), আনোয়ারা বেগম (রোকন), ইয়াসমিন আক্তার (কর্মী), সাদিয়া (সমর্থক), ফাতেমা বেগম (সমর্থক), উম্মে আতিয়া (রোকন), রুমা আক্তার (রোকন), রাজিয়া আক্তার (সমর্থক) ও রহিমা খাতুন (রোকন)।



মন্তব্য চালু নেই