সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের প্রতিবাদ সভায় মাওলানা আব্দুস সাত্তার :
জামায়াতীদের মামাতো বোন খালেদা জিয়া
সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে খালেদার সাংবাদিক সম্মেলনে মিথ্যাচার বক্তব্য এবং হরতাল অবরোধ বন্ধের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার।
চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াতীদের মামাতো বোন খালেদা জিয়া একচেটিয়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন এবং হরতাল-অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নীরিহ মানুষদের বিএনপি কর্মীরা পর্যন্ত পুরানো বক্তব্য দেওয়াতে যার মুখে যা আসছে গালমন্দ করে যাচ্ছে।
গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ সাত্তার তার আলোচনায় বলেন, খালেদা জিয়া প্রথমে জাতিকে জানাতে হবে তিনি কোন ধর্মের অনুসারী। নামে প্রমান হয় মুসলমান। মুসলমানদের প্রথম কাজ হলো আমরা যে নবীর উপর ঈমান এনেছি, তিনি হলেন মানবতার মুক্তির দিশারী, আল্লাহ পাকের বন্ধু, আমাদের পেয়ারে নবী, হযরত মুহম্মদ (সাঃ)। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ) উপদেশ আল্লাহ পাকের কোরআনের আয়াতের উপর আমল করা মুসলমান হিসেবে ঈমানী দায়িত্ব। খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলবো, আপনার সংবাদ সম্মেলনে দুইটি বিষয়ে আপনি স্পষ্ট করেছেন, প্রথমত: আপনার ক্ষমতার আমলে কু-কর্মের এবং আপনার ছেলে তারেকের কু-কর্ম থেকে মুক্তি চান।
দ্বিতীয়ত: আপনি যে ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে আরো একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আপনি যাদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় যাবেন, সেই সকল নেতা কর্মীদের বিষয় সম্পর্কে আপনার বক্তব্যে প্রমান হয়েছে আপনি ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলনের জন্য কোন নেতাকর্মীর কি হল, কোথায় অবস্থান করছে সে বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য আসেনি। কার কলিজা খুন করলো, কোন অসহায় আপনার কর্মীটি ধুকে ধুকে দুই চোখের পানিতে ভেসে গেল, এ বিষয়ে আপনার দলের সমর্থকরা বিভিন্ন চায়ের ষ্টলে আপনার বিরুদ্ধে রীতিমত সমালোচনায় মগ্ন এবং ক্ষুব্ধ।
সাবেক তিন তিনবারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান ২০ দলীয় নেত্রীর উদ্দেশ্যে সম্মানের সহিত বলব, শোষন-জুলুম-নির্যাতন, অন্যায় অবিচার ও জঙ্গি সন্ত্রাসের জনক হিসেবে পুনরায় হরতাল অবরোধের ঘোষণা দিয়ে অবিলম্বে টেরর ম্যাডাম হিসেবে সার্টিফিকেট পাকিস্তান থেকে খুব তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে আসছে। আপনি সংলাপের কথা মুখে মুখে বলছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই কিন্তু মূল বিষয় কার সাথে কোন বিষয়ে সংলাপ করবেন। আপনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য নিজ থেকে মোবাইল করেছেন, আপনার পক্ষ থেকে নেগেটিভ উত্তর সহ ভাল রেসপন্স হয়নি। আপনি সন্তান হারা মাতা হয়েছেন, আপনাকে সহানুভুতি জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী আপনার বাসায় গেলেন, আপনি মাননীয় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করে বাসার গেইটে তালা লাগিয়ে প্রতিহিংসা মূলক আচরন করেছেন, যাহা ইসলাম সাপোর্ট করেইনা, বরং জনগণের পক্ষ থেকেও প্রচুর সমালোচনার পাত্র হয়েছেন। দীর্ঘ আড়াই মাস হরতাল দিয়ে সংলাপে বসার ভাষণ দিয়েছেন।
তাই মাননীয় ২০ দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলব, হরতালে ক্ষতি পূরণের টাকা গুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আপনি নিজ থেকে অনুরোধ করে মোবাইলে প্রস্তাব দিয়ে দেখতে পারেন। এর আগেই জানাচ্ছি আপনার মোবাইলে শেখ হাসিনা দাওয়াত দিয়েছিলেন, আপনি প্রত্যাখান করেছেন। আপনার ছেলে মারা গিয়েছে সকল মান অভিমান পরিহার-মানবতার উন্নত মনের পরিচয় দিয়ে শোকাহত মাতাকে সহানুভূতি জানানোর জন্য গিয়েছিলেন। আপনি এজিদের ন্যায় পাশান হৃদয়ের আচরন করে নির্দেশ দিয়ে গেইটে তালা মেরে দিয়েছেন, এখন আপনি সংলাপের কথা বলছেন, কি বিষয়ে সংলাপে বসবেন তাও উল্লেখ করেননি, সংলাপের সকল দরজা আপনি নিজেই বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনার সংলাপে বসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করব।
তখন, যখন আপনি হরতাল-অবরোধে প্রতিদিনের ক্ষতি, নিরীহ মানুষদের হত্যা করার ক্ষতি, বার্ন ইউনিটে রোগীদের ক্ষতি, সর্বশেষ আপনি যে নির্বাচনের দাবি করেছেন, নির্বাচনের সকল ব্যায়, ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে সারা দেশে ভোট কেন্দ্রের স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা সহ সারাদেশে যেগুলো জালিয়েছেন আপনার নির্দেশে জামায়াত-বিএনপির কর্মীদের মাধ্যমে সেগুলোর হিসাব করে ক্ষতি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার ভাইদের মাধ্যমে জানান, আমি সকল ঋণ পরিশোধ করেছি। তখন আমরা গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে মাননীয় সরকার বাহাদুরের নিকট আপনার দালালী করতে যাব।
পরিশেষে আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ গণের উদ্দেশ্যে সম্মানের সহিত বলছি, এই সপ্তাহে খালেদা হরতাল-অবরোধ বন্ধের ঘোষণা না দিলে আগামী জুম্মা গুলশানে শান্তির মঞ্চ তৈরী করে সেখানে নামাজ শেষে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে আলিাটমেটামের মাধ্যমে স্মারক লিপি দেব। খোদা ভীরু সকল দেশ প্রেমিক আলেম পীর মাশায়েখের নিকট দাওয়াত রহিল।
মন্তব্য চালু নেই