মানবতাবিরোধী অপরাধ

জামালপুরের পলাতক ৬ জনের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক জামালপুরের ছয়জনের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আসামিরা আইনের দৃষ্টিতে পলাতক কিনা সে বিষয়ে আগামী ১৭ মের মধ্যে ট্রাইব্যুনালকে জানাতে প্রসিকিউশনকে বলা হয়েছে।

চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রবিবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

জামালপুরের আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই পলাতক ছয়জনের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

পলাতক আসামিরা হলেন— মো. আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারি, হারুন, মো. আবুল কাসেম।

গত ২৫ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন কার্যালয়ে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর কাছে এ সকল আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

এর আগে ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডির কার্যালয়ে সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

ওই দিন তিনি বলেছিলেন, ‘মূল ৯২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা, লাশ গুম, লুটপাট, নির্যাতন ও অপহরণসহ ১০ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অভিযাগ পাওয়া গেছে।’

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৬ পাতার দালিলিক প্রমাণ এবং ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধের সময় ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরা হয়েছে।

আব্দুল হান্নান জানান, এই আসামিরা মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা, ৫০ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে।

ওই আটজনের মধ্যে দুইজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন— জামালপুর শহরের নয়াপাড়া এলাকার এ্যাডভোকেট শামছুল হক (৭৫) ও সিংহজানি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফুলবাড়িয়ার বাসিন্দা এসএম ইউসুফ আলী (৮২)।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরে সংঘটিত অপরাধগুলোর সঙ্গে এই আটজনেরই বিশেষ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই