জাবিতে বঙ্গবন্ধুর ১৮ টি ছবি লাপাত্তা

শাহাদত হোসাইন স্বাধীন,জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৮টি ছবি প্রদর্শনী শেষে জহির রায়হান মিলনায়তন থেকে লাপাওা হয়ে গেছে।

রোববার বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে শাখা ছাত্রলীগ। এ সময় জাতির জনকের ১৮ টি ছবি জহির রায়হান মিলনায়তনে প্রদর্শনীর জন্য আনা হয়। ছবিগুলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অতিথি কক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়। শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বিপুল ও সহ-সম্পাদক অনিক কুমারের নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে প্রদর্শনীর জন্য ছবিগুলো সংগ্রহ করেন।

পরে সেখান থেকে আলোচনা সভা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ছবিগুলো নিয়ে আসেন তারা। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান শেষে ছবি গুলো লাপাত্তা হয়ে যায় বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের ২ জুনিয়র কর্মী ২টি ছবি নিয়ে যান বলে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন। কিন্তু বাকি ১৬ টি ছবির বিষয়ে তারা কিছু জানেন না বলে জানান। এ দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- ৪৪ তম ব্যাচের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নাজমুল গাজী ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মুবতাসিম ফুয়াদ রুহিন। তারা দুজনেই শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক বশিরুল হকের অনুসারী।

বঙ্গবন্ধুর ২টি ছবি নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ছাত্রলীগ কর্মী মুবতাসিম ফুয়াদ রুহিন বলেন, অডিটোরিয়াম থেকে যখন সবাই চলে যায় তখন প্রোগ্রাম শেষে আমরা কিছু ছেলেকে ২টা ছবি নিয়ে টানাটানি করতে দেখি। পরে তাদেরকে ধমক দিয়ে আমরা ২জন ২টা ছবি নিয়ে হলে চলে আসি। তবে বাকি ১৬ টি ছবি কোথায় আছে সে বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক বশিরুল হক বলেন, ‘তারা দু’জন ২টা ছবি অডিটোরিয়াম থেকে হলে নিয়ে আসে। তারা আমার কাছে সেটা স্বীকার করেছে।’

ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বিপুল বলেন, ‘ছবিগুলো আমি নিজস্ব অর্থায়নে সংগ্রহ করেছি। এ কারনে খুব রাগ লাগছে। আমি বিষয়টি জেনে জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘ছবিগুলো হয়তো নিয়ে কেউ তার কাছে রেখেছে।’



মন্তব্য চালু নেই