জাপানের ‘বেড়াল দ্বীপ’ রহস্য
এক দেশে যখন সারমেয় মারার হিড়িক চলছে, তখন আরও একটি দেশ আস্ত এক ডজন দ্বীপ ছেড়ে দিয়েছে বেড়ালদের জন্য। আশ্চর্য ব্যাপার হলেও, এটাই ঘটনা।
জাপানের একটি ছোট্ট দ্বীপ, নাম আওশিমা। দ্বীপের দৈর্ঘ্য মেরেকেটে দেড় কিলোমিটারের কিছু বেশি হবে। বর্তমানে সেখানে বাস করেন জনা পনেরো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। আর রয়েছে ‘অগুনতি’ বেড়াল!
আশ্চর্য ব্যাপার হলেও, এটাই ঘটনা। সেই কারণেই দ্বীপটির পরিচয় ‘নেকোজিমা’ নামেও, যার অর্থ ‘বেড়াল দ্বীপ’।
আওশিমার মতো, জাপানে এরকম আরও এক ডজন বেড়াল দ্বীপ রয়েছে। জেলে-মাঝিদের মাছ ধরার জাল কেটে দিত মূষিককুল। তাদের হাত থেকে জাল রক্ষার্থেই মার্জারকুলের স্মরণাপন্ন হয় জেলেরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, আওশিমা দ্বীপের বেশিরভাগ মানুষ চলে যান জনজীবনের মূল স্রোতে, রুজির টানে। হাতে গোনা কিছু সংখ্যক মানুষ থেকে যান দ্বীপেই। ১৯৪৫ সালেও এই দ্বীপে বসবাস করতেন ৯০০ মানুষ।
২০১৩ সালে, টুইটারে প্রথমবার জানা যায় আওশিমার ‘মার্জার পরিবার’-এর কথা। তার পর থেকেই পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে এই দ্বীপে।
আওশিমা ছাড়া তাশিরোজিমা, জেনকাইশিমা ও মুজুকিজিমা দ্বীপও বেড়ালের জন্য নাম করেছে। প্রসঙ্গত, জাপান একমাত্র দেশ নয় যেখানে মার্জারদের জন্য এমন জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় যথাক্রমে ১৮ ও ১৫টি এমন দ্বীপ রয়েছে। তবে, জাপান যে শুধু আস্ত দ্বীপ ছেড়ে দিয়েছে, তা নয়। দেশজুড়ে রয়েছে ক্যাট-ক্যাফে, ক্যাট-স্রাইন ও ‘হ্যালো কিটি’ নামে ক্যাট-শপ।-এবেলা
মন্তব্য চালু নেই