জাতীয় বেতন কাঠামো সংশোধন

জাতীয় বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারির সাড়ে তিনমাস পর এর দুটি ধারা সংশোধন করেছে সরকার। বুধবার রাতে অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গত ডিসেম্বরে জাতীয় বেতন কাঠামো জারি করা হয়। এ সংশোধনী ২০১৫ সালের ৭ জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু তাহেরের স্বাক্ষরিত সংশোধিত ধারা দুটি হচ্ছে, অনুচ্ছেদ ১১-এর উপ-অনুচ্ছেদ ২ এবং অনুচ্ছেদ ১৭-এর উপ-অনুচ্ছেদ ৫।

অনুচ্ছেদ ১১-এর উপ-অনুচ্ছেদ ২ সংশোধনের আগে ছিল- ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে চাকরি (বেতন-ভাতাদি) আদেশ ২০১৫ গেজেট প্রকাশের আগের দিন অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো কর্মচারীর বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি প্রাপ্য হলে তা তিনি পাবেন।

সংশোধনীর পর ধারাটিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোনো কর্মচারী যে তারিখে বার্ষিক বর্ধিত বেতন পেতেন, সেই নির্ধারিত তারিখের পরিবর্তে সব কর্মচারী একই তারিখে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারিখে বার্ষিক বর্ধিত বেতন পাবেন। যেসব কর্মচারী ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক বর্ধিত বেতন বাবদ যে অর্থ তুলে নিয়েছেন, তাদের তা ফেরত দিতে হবে না। কেউ না তুলে থাকলেও সুবিধাটি তিনি পাবেন।

এরই সঙ্গে বেতন কাঠামো আদেশের ১৭ অনুচ্ছেদের ৫ উপ-অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছে। এত বলা হয়েছে, যদি স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে সরকারি বা স্ব-শাসিত সংস্থা, ব্যাংক, বিমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী হন এবং তারা একসঙ্গে সরকারি বাসস্থানে বসবাস করেন, তা হলে তাদের মধ্যে যার নামে বাসস্থান বরাদ্দ রয়েছে, তিনি বাড়ি ভাড়া পাবেন না, তবে যার নামে বাসস্থান বরাদ্দ নেই তিনি আগের মতো বাড়ি ভাড়া পাবেন।



মন্তব্য চালু নেই