জাতীয় ঈদগাহে কঠোর নিরাপত্তায় ঈদ জামাত
সকাল থেকে মেঘের কারণে মুখ ভার থাকলেও ক্রমেই সে মেঘ সরে গিয়ে রোদের মিষ্টি হাসিতে ভরে উঠে আকাশ।বৃষ্টি নিয়ে বাড়তি কোন দুশ্চিন্তা না থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ ঈদের প্রধান জামাতে শামিল হতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আসতে থাকেন। তবে গুলশানে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা ও আরো হামলার হুমকিতে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের ঈদের এ প্রধান জামাতকে ঘিরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা।
নিরাপত্তার কারণে ঈদগাহে প্রবেশে মানুষের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। নামাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় অনেকে মূল মাঠে নামাজ পড়তে পারেননি। কেউ কেউ উপায় না পেয়ে ঈদগাহের সামনের রাস্তায় জায়নামাজ, পত্রিকা বিছিয়ে নামাজ পড়তে বাধ্য হন।
ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮ টায় শুরু হয়। বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এতে ইমামতি করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি, আমলা, কূটনৈতিকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নামাজ আদায় করেন।
ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে প্রধান জামাতের অগ্রভাগে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।
সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে মোনাজতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রধান জামাত। জামাত শেষে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
জাতীয় ঈদগাহ ঘিরে তৈরি করা হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা বলয়। মূল প্রবেশ পথে ছিল চারটি আর্চওয়ে। মূল প্রবেশ পাথের উত্তর পাশেই ছিল ডিএমপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সেখান থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। বাইরে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে। কদম ফোয়ারের পূর্ব পাশে বসানো হয়েছিল র্যাবের ওয়াচ টাওয়ার।
মহিলাদের জন্য ছিল আলাদা প্রবেশ পথ। সেখানেও ছিল দীর্ঘ সারি।
মন্তব্য চালু নেই