জলে ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ে বৈসাবি শুরু

ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ভোরে চেঙ্গী নদীর ছড়া খালে কলাপাতায় ফুল, দুর্বা ভাসানোর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নববর্ষকে বরণের উৎসব ‘বৈশাবী’র মূল আনুষ্ঠানিকতা।

বুধবার ভোরে চাকমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় নারী ও শিশুরা চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো ও ফুল পূজার মধ্যে দিয়ে উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করে। বিগত বছরের দুঃখ-কষ্টকে বিদায় জানানোই এর উদ্দেশ্য। নদীতে ফুল ভাসিয়ে তারা প্রার্থনা করে।

সমতল থেকে ভিন্ন আঙ্গিকে পাহাড়ে বর্ষবরণ উৎসব পালন করা হয়। মূলত চৈত্রের শেষ দুদিন আর বৈশাখের প্রথমদিন থেকে নানা আনুষ্ঠানিকতায় মুখর হয়ে থাকে পাহাড়।

আজ থেকে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে বসবাসরত পাহাড়ি আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ শুরু। বৈসাবি শব্দটি এসেছে ত্রিপুরা ‘বৈসু’, মারমা ‘সাংগ্রাই’, চাকমা ‘বিজু’ ও তঞ্চঙ্গ্যার ‘বিসু’ শব্দ থেকে।

পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয় এই উৎসবের মধ্য দিয়ে। প্রতিবছর এ উৎসব পালন করা হয় বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বা পহেলা বৈশাখ। এ সময় পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম থাকে উৎসবমুখর।

বর্ষবরণ উপলক্ষে এ বছর খাগড়াছড়িতে পার্বত্য জেলা পরিষদ, সার্বজনীন বৈসাবি উদযাপন কমিটি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, মারমা ঐক্য পরিষদ, মারমা উন্নয়ন সংসদ, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন ঐতিহ্যবাহী নানা খেলাধুলাসহ সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছে।



মন্তব্য চালু নেই