জমেছে গরু হাটঃ ‘এ ভাই গরুর দাম কত?’

রাজশাহী : এ ভাই গরুর দাম কত? বেচা-কেনা কত? কত হলে দেবেন? এমন কথার মধ্যে মানুষ সাধ্যের মধ্যের তার পছন্দের গরুটি কিনে নিচ্ছেন। যদিও ঈদ-উল-আযহার দেরি নেই। হাতে মাত্র কয়েকদিন। তাই শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছেন সকলে। আর এ কারণে বেচাকেনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজশাহী অঞ্চলের পশুহাটগুলো।

আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে রাজশাহীর হাটগুলোতে চলছে ফুলদমে বেচাবিক্রি।
ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতিতে হাটগুলো এখন সরগরম। পা ফেলার জায়গা নেই। রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ সিটি হাটসহ জেলার নয়টি উপজেলার সবগুলো পশুহাটেরই এখন চিত্র একই রকম।

রাজশাহীর হাটগুলোতে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর সরবরাহ ছিলো। রাজশাহী অঞ্চলের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে গত একমাস থেকে ভারতীয় গরুর দেশে প্রবেশ করেছে। এর ফলে এ বছর কোরবানি পশুর উচ্চমূল্যের যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্বব হয়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে পশুর দাম। ফলে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে কোরবানির পশু।

এদিকে আবহাওয়ার ভালো না হবার কারণে হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা দিনভর সমস্যার মধ্যে পড়েন। সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হবার কারণে হাটগুলো কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে এবং পানি জমে যায়। ফলে ক্রেতা এবং বিক্রেতারা ভেজা শরীর নিয়ে পশু বেচাকেনা করেন।

ব্যবসায়ীরা বলছে, এবছর হাটে পশুর সরবরাহ বেশি। দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। মাঝারি আকারের একটি গরুর বা মহিষের দাম ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর মাঝারি আকারের একটি ভেড়া বা খাসির দাম ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজারের মত চাওয়া হচ্ছে। ক্রেতাদেরও আগ্রহ বেশি মাঝারি পশুর প্রতি। কারণ, তারা তাদের সাধ্যের মধ্যে মাঝারি আকারের পশু কিনতে পারছেন।

এদিকে নগরীর সিটি হাট ছাড়াও কোর্টবাজার, সাহেববাজার, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্টস্টেশন, নওদাপাড়া নওদাপাড়া আমচত্বর এবং কাজলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে আস্থায়ীভাবে হাট বসেছে। তবে এসব হাটগুলোতে বেচাকেনা কম। যারা দূরের পশুহাটে যাওয়ার ঝামেলা এড়াতে চান, সেসব ক্রেতারাই অস্থায়ী হাটগুলো থেকে কোরবানি কিনছেন।

সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ হাট হলো সিটি হাট। এখনে বিভিন্ন জেলার পাইকাররা এ হাটে গরুর কিনতে আসেন। তবে এবার হাটে দেশি গরুর সরবরাহ বেশি। পাশাপাশি ভারতীয় গরুরও ছিলো হাটে। তবে এর সংখ্যা কম। তবে আবহাওয়া ভালো না হবার করণে ক্রেতা একটু কম।



মন্তব্য চালু নেই