জবি’র জন্য যত জমি লাগে তত দেবার প্রতিশ্রুতি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে (জবি) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপদান করার পরেও অনেক সমস্যা ছিল। ২৭ (৪) ধারা বাতিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপদান করেছেন। তাই আধুনিক ও মানসম্মত ব্যবস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সম্প্রসারনের জন্য বর্তমান সরকার সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এরই ফল¯্রুতিতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের এই স্থানে যত জমি লাগে তত জমির ব্যাবস্থা আমরা করে দিবো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শুভ সূচনা’-এর উদ্বোধনকালে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এম.পি. এসব কথা বলেন। জমি দিতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা যেখানে থমকে ছিল, আমি যোগাদানের পর থেকে গতিশীল করতে সক্ষম হয়েছি। দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জস্থ বাঘৈর গ্রামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি ৩৪৯.৫ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’-এর নামে অত্যাধুনিক একটি ছাত্র হল এবং বিশতলা ভবন বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জবি ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ আলী নূর, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, কেরাণীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ প্রমুখ।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্রনেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। জবি’র দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে উপাচার্য এবং কেরাণীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান বৃক্ষরোপণ করেন এবং অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শুভ সূচনা করতে দুপুর ২টায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে জবির সব পরিবহন কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সব পরিবহন ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
মন্তব্য চালু নেই