‘জনপ্রিয়তার ভয়ে আব্বাসকে নামতে দিচ্ছে না’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্দলীয়। কিন্তু প্রশাসন আমাদের সঙ্গে নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। তারা আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে। মেয়রপ্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয় হতে দিচ্ছে না। তার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত চলছে।
শনিবার সকালে মতিঝিলের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে গণসংযোগ শুরু করেন আফরোজা আব্বাস। এরপর রামকৃষ্ণ মিশন, গোপীবাগ, অভয়দাস লেন, হাটখোলা, গোলাপবাগসহ বেশকিছু এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হাতে লিফলেট দিয়ে মির্জা আব্বাসের জন্য ভোট চান।
এ সময় আফরোজা আব্বাস বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে প্রার্থীরা গণসংযোগসহ নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছে। কিন্তু আদর্শ ঢাকা আন্দোলন প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের সমান সুযোগ না দিয়ে প্রশাসন যদি কোনো বিশেষ প্রার্থীকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয় বা সুযোগ সুবিধা দেয় তবে ভোটাররা বিভ্রান্ত হয়। তারা শঙ্কিত হয়। নিরপেক্ষ ভোটারদের আস্থা তৈরির জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা প্রয়োজন।
আফরোজা আব্বাস বলেন, আমাদের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের গণসংযোগ ও নির্বাচনী কার্যক্রমের ওপর খবরদারি চলছে। চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ইঙ্গিত নয়।
দিনভর নির্বাচনী গণসংযোগে আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহমিনা রুশদীর লুনা, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, গীতিকার নাহিদ নজরুল, মেহেদী হাসান লিটু, আনিসুর রহমান টিপু, আকতার হোসেন রিপন, কায়সার আপেল প্রমুখ।
এদিকে, সকাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মির্জা আব্বাসের বাসায় যান গণসংযোগে অংশ নেওয়ার জন্য।
এদের মধ্যে ছিলেন চিত্রনায়ক উজ্জ্বল, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, ছড়াকার আবু সালেহ, অভিনেতা বাবুল আহমেদ, জাসাস নেতা রফিকুল ইসলাম, সালাউদ্দিন ভূঁইয়া শিশির, জাকির হোসেন রোকন, সীবাশানু, জিসাস নেতা আবুল হাসেম রানা, নৃত্যব্যক্তিত্ব রাহিজা খানম ঝুনু, সংগীতশিল্পী ইথুন বাবু, কণ্ঠশিল্পী হাসান চৌধুরী, অভিনেত্রী কেয়া চৌধুরী, অভিনেত্রী শায়লা, অভিনেত্রী সোহানা, শিল্পী রহমান, শিল্পী আসমা আজিজ, শিল্পী সাবিনা, অভিনেতা আমির হোসেন, আব্দুল মতিন জনি, সেলিনা বেগম, হোসনে আরা নাজ, শাহীনুর আবেদীন প্রমুখ। তারা এ সময় কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, শান্তিনগর বাজার, বেইলী রোড, আনারকলি মার্কেট, মৌচাক মার্কেটসহ বেশ কিছু এলাকায় গণসংযোগ করেন।
অন্যদিকে, ৩১, ৩২ ও ৩৩নং ওয়ার্ডে মির্জা আব্বাসের ছোট বোন মহিলা দলনেত্রী ইসরাত মির্জা খুশীর নেতৃত্বে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়।
এ ছাড়া, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আব্দুল খালেক ও দফতর সম্পাদক কাজী রফিকের নেতৃত্বে টিকাটুলি, গোপীবাগ, কমলাপুর, আরামবাগ, ফকিরপুল ও মতিঝিল এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে। এ সময় আ. জব্বার, মজিবুর রহমান, মো. সরোয়ার হোসেন, আব্দুল ওয়াহাব, মাইনুদ্দিন মজুমদার, রফিকুল হকসহ কেন্দ্রীয় যুবদল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যুবদল ঢাকা মহানগর ১০০ জন নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে ৭টি টিম গঠন করে বাসবো ৪নং ওয়ার্ড, ১০নং ওয়ার্ড, মতিঝিল এজিবি কলোনিতে প্রচার অভিযান ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
কাউন্সিলর প্রার্থী আনুর বাসায় পুলিশি তল্লাসির নিন্দা
৯নং ওয়ার্ডের আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন আনুর বাসায় শুক্রবার রাতে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তল্লাশি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আফরোজা আব্বাস ও যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
মন্তব্য চালু নেই