নোয়াখালীতে সুধী সমাবেশে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি
“জঙ্গীবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস দমনে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরী”
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বলেছেন, জঙ্গীবাদ, মাদক ও সকল প্রকার সন্ত্রাস দমনে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে শুধু এসব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। যুব সমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
এতে করে সমাজে অপরাধ বাড়ছে। প্রত্যেকের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। একা পুলিশ বাহিনীর পক্ষে মাদকের ভয়াবহতা নির্মূল করা সম্ভব নয়। একই সাথে সামাজিক এসব অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশ ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি চক্র দেশে আইএস আছে, এটা প্রমাণ করতে তৎপর। ওই চক্র আমাদের দেশকে আফগানিস্থান, সিরিয়া ও পাকিস্তানে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই অশুভ শক্তিকে চিহ্নিত করে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।
গত কাল নোয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইনে শহীদ কনষ্টবল ময়নুল হক হলে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা অংশ গ্রহণ করেছেন ও শহীদ হয়েছেন; তাদের মধ্যে পুলিশের সংখ্যা অন্যতম। আমাদেরকে দেশের অস্তিত্বের কথা চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্যের কারণে পুলিশ বিভাগের দুর্নাম মেনে নেয়া যায় না। এসময় তিনি পুলিশ বাহিনীর ভালো কাজগুলো তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফের সভাপতিত্ব ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামানের সঞ্চালনায় সুধি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সাংসদ ফজলে এলাহী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা কমিউিনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ শাহ্জাহান, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর ইউসুফ, শহর আ.লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও নোয়াখালী পৌর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফ উদ্দিন সোহান প্রমুখ।
এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিউনিটি পুলিশ, ব্যবসায়ী, বাস-মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য চালু নেই