জঙ্গীদের সবচেয়ে গোপনীয়তা

সূচনা : জঙ্গী বিশ্বের মানব জাতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত জঙ্গীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতেছে। কিন্তু কিভাবে বৃদ্ধি পাইতেছে তা মানুষের সম্পূর্ণ অজানা। জঙ্গীদের গোপনীয়তাই বৃদ্ধির একমাত্র কারণ। উক্ত গোপনীয়তা চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন। উক্ত গোপনীয়তা আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার বিষয়। সব জঙ্গীর উৎস এক। জঙ্গী জন্মগত ভাবেই জঙ্গী।

বর্ণনা : আমাদের দেশে অনেক জঙ্গী আছে। জঙ্গীদের গোপনীয় বিষয়ে মানুষের জ্ঞান থাকলে এবং প্রচার করলে নতুন জঙ্গী সৃষ্টি হইতে পারবে না। জঙ্গীদের মূল শেকড় বা মূল উৎপাঠন না করতে পারলে প্রতিদিন জঙ্গীদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে; বৃদ্ধি পাবে জঙ্গীদের জনশক্তি অর্থাৎ জনবল। মানুষের মতো “ক্লোন প্রক্রিয়া” হল জঙ্গীদের অত্যন্ত গোপনীয়তা। ক্লোনের প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জঙ্গীরা কখনই প্রকাশ করবে না। তাই মানুষদেরকে (আদম জাত) তদন্ত বা গবেষণা করে জঙ্গীদের গোপনীয়তা (ক্লোন বিষয়) বের করতে হবে।

জঙ্গীরা বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশে মানুষের মতো ক্লোন করতে পারে। উক্ত ক্লোন প্রক্রিয়া বিজ্ঞানের সংজ্ঞার মধ্যে পরে না। জঙ্গীদের গোপনীয়তা প্রক্রিয়া হল জ্বীন/পরী (এক প্রকার প্রজাতি), একজন মানুষের মতো আকৃতি ধারণ করে কয়েকটি অপারেশন করলেই মানুষ সৃষ্টি হয়। তাই জঙ্গীরা আদমজাত অর্থাৎ আশরাফুল মাখলুকাত নয়। মানুষের প্রতি এদের দয়া-মায়া-মমতা নেই। হঠাৎ মানুষ (আদম) নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বা হারিয়ে যায়, সে সবের বেশীর ভাগই জঙ্গীরা/জ্বীন/পরীরা মানুষকে হত্যার পর গুম করে এবং পূর্বে থেকে যদি ক্লোন করে রাখে তবে যে কোন সময়ে হারানো ছেলে/মেয়ে ফিরে আসে, আসলে জঙ্গীদের/জ্বীন/পরীদের ক্লোন করা মানুষের মতো জঙ্গী ফিরে আসে। তাই দেশের সব শ্রেণীর অর্থাৎ রাজনীতিবিদ, আইনশূঙ্খলা বাহিনী, চাকুরীজীবি,ব্যবসায়ী, ধনী-গরীব সর্বক্ষেত্রেই জঙ্গী বিদ্যমান। অর্থাৎ জ্বীন/পরী থেকে ক্লোন করা মানুষ-ই জঙ্গী। যে ক্লোন সে হলো জঙ্গী। ক্লোন যে স্থানেই অবস্থানেই থাকুক বা যে পার্টিই করুক; ভিতরে সবাই একতাবদ্ধ।

পরিচিতি : আমি অরেকবার জ্বীন/পরী দেখেছি। অল্প সংখ্যক মানুষেরাও জ্বীন/পরী দেখেছে। জ্বীন/পরী এক প্রকার প্রজাতি। জ্বীন হলো পুরুষ এবং পরী হলো মহিলা। এরা অশরীরী জীব। মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টির অনেক পূর্বে জ্বীন এবং পরীদের খাটি অগ্নি শিখা দ্বারা সৃষ্টি করেছিলেন। তাহাদের কোন পাখা থাকে না এবং রাতে চলাফেরা করে, দিনের আলোতে ভাল দেখতে পারে না। অনেক জ্বীন/পরী নির্দিষ্ট বাসায় বসবাস করে। সেখানেই খাওয়া, গোসল ও লেখাপড়ার সুব্যবস্থা আছে। তাহারা শৈশব কাল, যৌবন কাল এবং বৃদ্ধকাল অতিবাহিত করে। অন্য প্রাণীদের মত জন্ম-মৃত্যু, রোগ, সুখ-দুঃখ বিদ্যমান।

প্রকৃতি প্রদত্ত তাদের বিশেষ ক্ষমতা হলো যে কোন প্রাণীর আকৃতি ধারণ করতে পারে। যেমন: মানুষ, বিড়াল, কুকুর, সাপ ইত্যাদি। যখন জ্বীন/পরী মানুষের আুকৃতি ধারণ করে তখন তাদের মুখে কোন দাঁত থাকে না তবে মাড়ি থাকে। হাত, পায়ের আঙ্গুলে কোন নখ থাকে না। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে একটি মাত্র হাড় (ফ্যালাঞ্জেস) থাকে। তখন সমস্ত শরীরে হাড় হয় ২০৪ খানা। যখন জ্বীন/পরী মানুষের আকার ধারণ করে তখন দিনের আলোতে দেখতে পারে না। কারণ চোখের রেটিনাতে কোণ (Cone) কোষের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে এবং রড (Rod) কোষের পরিমাণ অনেক কম থাকে।

Capture
লেখক : মোঃ আব্দুল খালেক

পরীদের কোন সময়ই মাসিক হয় না। উক্ত প্রজাতির গড় আয়ু ১০০-১১০ বছর। যে কোন মানুষের কন্ঠস্বরের মতো কথা বলতে পারে। তাদের প্রয়োজনের সময় মানুষের (ইনসানের) শরীরে জোনাকি পোকা বা অন্য পোকার মতো আকৃতি ধারণ করে অবস্থান করতে পারে। তাহারা অত্যন্ত সাহসী, প্রতিহিংসা পরায়ন, ধূর্ত। মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কার্যাসিদ্ধি ( অর্থাৎ ক্লোন) করে। তাদের মধ্যে মুসলমান এবং হিন্দু সম্প্রদায় আছে। পবীত্র কোনআন শরীফেও “জ্বীন” নামক একটি সূরা আছে। সূরা নম্বর-৭২। অন্যান্য ধর্র্মগ্রন্থেও উক্ত প্রজাতির বর্ণনা আছে।

ট্রেনিং পিরিয়ড : জ্বীন/পরীরা/জঙ্গীরা প্রথমেই টার্গেট করে, কোন মানুষের মতো ক্লোন করবে। তখন সে মানুষের বাড়িতে জ্বীন/পরী অবস্থান করতে থাকে। যে মানুষের (ইনসানের) মতো ক্লোন করবে তার সমস্ত কিছুই ট্রেনিং নেয়। যেমন- পরিবারের সদস্যদের নাম শিখবে এবং চিনবে, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী এবং যার মত ক্লোন করবে তার বন্ধু-বান্ধবকে চিনবে, কার কি নাম তা জানবে। কাকে কিভাবে ডাকে তা শিখবে। উক্ত ট্রেনিং নিবে মানুষের বাড়ীতে বা বাসায় মিলিয়ে থেকে। পার্শ¦বর্তী অন্য জঙ্গীর মাধ্যমে প্রয়োজনে ক্যামেরা দিয়ে দৈহিক আকৃতির ছবি তোলে নিবে। জ্বীন/পরীরা যে মানুষের মতো ক্লোন করবে সে যদি লেখাপড়া করে তবে সেই ক্লাসের বা বিষয়ের অধ্যয়ন করে তাদের আস্তানায়। অথবা যে মানুষের (ইনসানের) মতো ক্লোন করবে সে যে পেশার তা ভালোভাবে শিখবে। যেমন: মানুষ (ইনসান) শিক্ষক হলে কিভাবে শিক্ষকতা করতে হয় তার ট্রেনিং নিবে। রাজনীতিবিদ বা ছাত্রনেতা হলে বিভাবে বক্তৃতা দিতে হয় শিখবে তাদের আস্তানায়। তাদের ট্রেনিং এর সময় ৬ মাস থেকে ৩ বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে।

জঙ্গীদের ক্লোন পদ্ধতি (যদিও বিজ্ঞানে ক্লোনের সংজ্ঞা অন্য রকম) : জ্বীন/পরীদের/জঙ্গীদের আস্তানায় (ক্লোন কারখানায়) ক্লোন করে। যে মানুষের (ইনসানের) ট্রেনিং নিয়েছে তার মতো আকৃতি ধারণ করে জ্বীন/পরী। তার মাথার চুল যেমন, তেমনি করে; উচ্চতা যতটুকু ততটুকু উচ্চতা ধারণ করে, কন্ঠস্বর যেমন তেমনি কন্ঠস্বর করে। তারপর অ্যানেসথেশিয়া ডাক্তার অচেতন করে। জঙ্গী দন্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা মানুষের আকৃতির জ্বীন/পরীর মুখের মাড়িতে একটির পর একটি করে দাঁত সংযুক্ত করে। প্রতিটি দাঁত চিমটার সাহায্যে ধরে দাঁতের মূল (Root) ইলেকট্রনিক আগুনে উত্তপ্ত করে ইনসিসর, কেনাইন, প্রিমোলার এবং মোলার দাঁত সংযোজন করে। ঠিক যেভাবে সজ্জিত থাকে আদম মানুষটির। দাঁত বসানোর পর জ্বীন/পরী আর মিলিয়ে যেতে পারে না বা অন্যরূপ ধারণ করতে পারে না। একটু সুস্থ হলে জঙ্গী চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা দিনে দেখার জন্য পূর্বে সংগ্রহকৃত মানুষের চোখ/রেটিনা উক্ত ক্লোনের (জ্বীন/পরী) চোখে লাগানো হয়। মানুষের সংগ্রহকৃত নখ ক্লোনের হাতে পায়ের আঙ্গুলে সংযুক্ত করে। তার জন্য নখগুলি আগুনে উত্তপ্ত করতে হয়। তারপর জঙ্গী অর্থোপেডিক ডাক্তার দ্বারা এক প্রকার মেশিনের সাহায্যে দু’হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির হাড়কে কেটে/ভেঙে দুইটি হাড়ে (ফ্যালাঞ্জেসে) পরিণত করে। তখন শরীরে হাড় হয় ২০৬ খানা। উক্ত অপারেশনগুলি করার সময় ক্লোন রোগীকে স্যালাইন, ইনজেকশান ও তরল খাবার দেওয়া হয়। উক্ত অপারেশান গুলো সম্পন্ন করতে এবং সম্পুর্ণ সুস্থ হতে সময় লাগে ৩-৪ মাস। যে মানুষের দাঁড়ি, গোফ থাকে যদি তার মতো ক্লোন করলে হরমোন ইনজেকশান দেয় যাতে করে তাড়াতাড়ি দাঁড়ি গোফ উঠে।

যে মানুষের মতো ক্লোন করে জঙ্গীরা সে মানুষকে সুবিধা মতো স্থানে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে এবং গুম করে। যদি সুযোগ পায় তবে উক্ত হত্যা করা মানুষের দাত, চোখ এবং নখ তুলে নিয়ে আস্তানায় ক্লোন কারখানায় পাঠিয়ে দেয়। মানুষ গুম করার সময় ঠিকমতো কাপন-দাপন এমনকি একটি খাটনিও দেয় না। জ্বীন/পরীদের মধ্যে হিন্দু আছে। আর হিন্দু ক্লোন করলে উক্ত ক্লোনের আকৃতি মানুষ (ইনসান) হত্যার পর পুড়ানো হয় না। মাটিচাপা দিয়ে গুম করে। কারণ……………….।

উদাহরণ স্বরূপ খুলনার টপটেরর এরশাদ শিকদারের স্বর্ণকমল বাসা উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় ক্লোন করার আস্তানা/ক্লোন কারখানা ছিল। এখানে মানুষকে হত্যা করত এবং দাঁত, চোখ এবং নখ তোলে গুম করত। তাই সেখানে হাজার মানুষের কংকাল পাওয়া যাবে। পুলিশ তার বাসা থেকে মানুষের অনেক দাঁত, নখ ও ফ্রিজ থেকে মানুষের চোখ এবং ক্লোন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করেছিল। কিন্তু উক্ত ক্লোন রহস্য অজানা ছিল।

যেহেতু আমি জঙ্গীদের অত্যন্ত গোপনীয় উক্ত ক্লোন বিষয় জানি সুতরাং আমার মতো জ্বীনের বাদশার বড় ছেলেকে ক্লোন করে রেখেছে। তাই জঙ্গীরা আমাকে হত্যার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। বর্তমানে আমাকে যে কোন সময় জঙ্গীরা হত্যা করিতে পারে। যদি হত্যার পর গুম করিতে পারে তবে আমার স্থানে জ্বীনের বাদশার ছেলে (ক্লোন) এসে যাবে এবং ভবিষ্যতে ধনী হবে।

কিছু জ্বীন/পরী/জঙ্গী আছে যারা পবিত্র কুরআন শরীফের সুরা উল্টোভাবে পড়তে পারে। উক্ত কুফুরী করে যদি মিষ্টি কিংবা পানিপড়া খাওয়ায় মানুষকে তবে তাদের গোপনীয় ক্লোনের কথা কখনই বলতে পারে না। যে সকল মানুষ জঙ্গীদের/জ্বীন/পরীদের কুফুরী করা পানি পরা বা মিষ্টি বা চকলেট খেয়েছে তারা উক্ত ক্লোন বিষয়ে আমলে নিতে পারবে না।

কিভাবে তদন্ত এবং গবেষণা করবেন ?

* জঙ্গীরা যে ক্লোন মানুষ (জ্বীন/পরী ছিল) তাদের চিনতে হলে হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলকে এক্সরে করে অর্থোপেডিক্স ডাক্তার দ্বারা কম্পিউটারে ধরলেই বুঝতে পারবে যে উক্ত আঙ্গুলের হাড় (ফ্যালাঞ্জেস) মেশিনের সাহায্যে দিয়ে কাটা/ভাঙা থাকবে।

*  মহিলা ক্লোন/ জঙ্গী হলে তাদের কখনই মাসিক পিরিয়ড হবে না। (কারণ আদম মহিলাদের মাসিক পিরিয়ড হয়।)

* চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা জঙ্গীদের চোখ পরীক্ষা করলেই জানতে পারবেন তাদের চোখ দুটি দিনে দেখার জন্য রেটিনা অপারেশন করে সংযোজন করা।

*  জঙ্গীদের DNA পরীক্ষা করে চেনা যাবে বর্তমান পিতা মাতার সাথে মিল থাকবে না বা অন্য ভাইবোনদেরDNA এর সাথে মিল থাকবে না।

*  দন্ত বিশেষজ্ঞ দ্বারা তদন্ত করলে জানা যাবে জঙ্গীদের সব দাঁত কৃত্রিম স্থায়ী ভাবে লাগানো।

* অনেক জঙ্গীদের দাঁত পাথর দিয়ে বানানো তার পর মাড়িতে লাগানো আছে।

* অনেক জঙ্গী/ক্লোন স্বাভাবিকভাবে কলম ধরতে পারে না। কারণ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির হাড় (ফ্যালানঞ্জেস) ভাঙা থাকে।

* চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানতে পারবে; তাদের নখ কৃত্রিমভাবে সংযুক্ত।

সংকরায়ন :

* জঙ্গী মানুষ (পূর্বে জ্বীন ছিল), পরীকে বিয়ে করলে সন্তান হবে জ্বীন অথবা পরী।

* মানুষ (ইনসান) পরীকে বিয়ে করতে পারবে না।

* জঙ্গী পুরুষ জঙ্গী মহিলাকে বিয়ে করলে সন্তান হবে সরাসরি স্বাভাবিক ছেলে অথবা স্বাভাবিক মেয়ে মানুষ (নখ সম্পন্ন পরবর্তীতে দাঁত উঠবে)।

* জঙ্গী মহিলা শুধু মাত্র জঙ্গী পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে।

* মানুষ (আদম) পুরুষ কখনোই জঙ্গী মহিলাকে বিয়ে করতে পারবে না।

* জঙ্গী/ক্লোন পুরুষ সরাসরি মানুষ মহিলাকে (আদমজাত) বিয়ে করতে পারবে।

উপসংহার: এভাবে ক্লোনের মাধ্যমে মানব সম্পদ হত্যার পর গুম হচ্ছে এবং ক্লোন এসে জঙ্গীদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা মানুষের সম্পূর্ণ অজানা। উক্ত বিষয়ে তদন্ত/গবেষণা করত: সত্য রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষা করতঃ এবং জঙ্গী সৃষ্টি ব্যহত করুন।

 

লেখক :
মোঃ আব্দুল খালেক (প্রভাষক)
গৌরীপুর, ময়মনসিংহ।



মন্তব্য চালু নেই