‘জঙ্গি অর্থায়নে দেশীয় গোষ্ঠী জড়িত’
জঙ্গি অর্থায়নে দেশের একাধিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদের জন্য বিদেশি অর্থায়নের সুস্পষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও দেশের একাধিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এতে অর্থায়ন করছে, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে একাধিক তথ্য আছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় আপাতত প্রকাশ করা যাবে না।’
বুধবার রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটরিয়ামে দুস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। দুস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিএমপির লালবাগ বিভাগ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, `দেশে জঙ্গিবাদ পরিচালনায় লোকাল লিংকেজ তো অবশ্যই আছে। তা না হলে তাদের আশ্রয়, বাসা, অস্ত্র, খাওয়া-দাওয়া, টাকা কোন উৎস থেকে আসে?’
‘বিভিন্ন অভিযানে পুলিশ যেসব বিস্ফোরণ উদ্ধার করেছি সেসব স্টোর করতে প্রচুর টাকার দরকার হয়। কারা এত টাকা দেয়? নিশ্চয়ই এর পেছনে লোক রয়েছে। তাদের কিছু তথ্য আমাদের কাছে আছে। তবে এখনই এটা সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে না। কারণ এতে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে’, বলেন ডিএমপি কমিশনার।
দেশীয় জঙ্গিদের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক অর্থদাতাদের সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তর থেকে যেমন জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তেমনি দেশের বাইরে থেকেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে জঙ্গিদের অর্থায়নের অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। এই অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি। আমাদের গোয়েন্দারা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিদেশি ফাইন্যান্সের কংক্রিট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতি হলো- জিরো টলারেন্স টু টেররিজম। বিশেষ করে পহেল জুলাইয়ে হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকে দেশে জঙ্গিবাদ চিরতরে নির্মূল করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে দেশে চিহ্নিত প্রায় ২৭ জন জঙ্গি আমাদের টিম অ্যাকশনে নিহত হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘জঙ্গি নির্মূলে আমরা পাঁচটি সূত্রে এগিয়ে যাচ্ছি। তা হলো- এর সংগঠক, আশ্রয়দাতা-অর্থদাতা, প্রশিক্ষক কারা। পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহের উৎস কী, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এক ঘটনায় সকল সূত্রের মিল পাওয়া যায় না। গুলশানে যে ঘটনা ঘটেছিল, মিরপুরে ছিল তার ব্যতিক্রম। পাশাপাশি গাজীপুরে, নারায়ণগঞ্জে বা সর্বশেষ আশকোনায় আমরা যে অভিযান পরিচালনা করেছি, সেখানে একটির সঙ্গে আরেকটির কিছু মিল পাওয়া গেলে সাথে সাথে গড়মিলও পাওয়া যাচ্ছে।’
মন্তব্য চালু নেই