জঙ্গিবাদের মূলে মীর কাসেম আলীর টাকা

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘জঙ্গি হামলার বিষয়ে আমি অত গোপন তথ্য জানি না। আমি মনে করি এর মূলে রয়েছে জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী। তিনি শত শত কোটি টাকা ছড়িয়েছেন, সেসব টাকা যাবে কোথায়? তার কিছু একটা প্রতিফলন তো ঘটবেই।’

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাতে দশম জাতীয় সংসদের একাদশ (বাজেট) অধিবেশনে কার্য প্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধি অনুযায়ী প্রস্তাবের (সাধারণ) উপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার পর সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তা এ অভিমত প্রকাশ করেন।

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতে মঙ্গলবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সংসদ। সেখানে আলোচনায় অংশ নেন সংসদে বিরোধী দলনেতা বেগম রওশন এরশাদ, তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, স্বতন্ত্র এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী, সৈয়দ নজিবুল বশর মাউজভান্ডারী, আবদুল মতিন খসরু, মঈন উদ্দিন খান বাদল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহম্মুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত সেন বলেন, ‘দেশে যদি এন্টি টেরিরিজম আইন (টাডা) করেন, এর জন্য দেশে ১০০ জন বিচারক দেন, দেখবেন জঙ্গি-টঙ্গি আর থাকবে না। দেশের মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আসবে।’

জামায়াত শিবিরকে তিনি জঙ্গিবাদি, সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের যে আইন আছে সেটি বদল করে এন্টি টেররিস্ট আইনের আওতায় এদের বিচার করলে জঙ্গি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’



মন্তব্য চালু নেই