জঙ্গিদের বাবা-মায়েরা এসে ধরিয়ে দিচ্ছেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জনবল ও দক্ষতা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন এসেছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা কমেছে। জঙ্গি ও বনদস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দস্যুতা করে তারা কিন্তু দল বেঁধে সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ) করছে। সুন্দরবনে জেলেরা, বাওয়ালি-মাওয়ালিসহ পর্যটকরা সবাই ভয়ে ছিল। এখন কিন্তু অ্যাকটিভ জলদস্যুর সংখ্যা কমে গেছে। এরা একের পর এক সারেন্ডার করছে। আমাদের জঙ্গিরাও একের পর এক সারেন্ডার করছে। এবং জঙ্গিদের বাবা-মায়েরা এসে তাদের ধরিয়ে দিচ্ছেন। এই যে একটা চেঞ্জ আসছে এটা কিন্তু এমনি আসে নাই। আপনারা সজাগ ছিলেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাক ফলো করে আপনারা সবাই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বলে আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমরা পুলিশকে ঢেলে সাজাচ্ছি। জনবল বৃদ্ধি করছি। সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছি।’
থানায় পুলিশের যানবাহনের স্বল্পতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক ক্ষেত্রে যানবাহন দিতে পারছি না। প্রত্যেকটা থানায় আমরা পর্যায়ক্রমে যানবাহন দেব। যেখানে যেটা প্রয়োজন, আমরা দেব।’
মাদককে দেশের এক নম্বর সমস্যা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশকে মাদকমুক্ত করতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচার-প্রচারণা ও সামাজিক আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সভায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হীরা, সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল, জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জামালপুর সদর ও মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য চালু নেই