ছোট থেকেই বাচ্চা হবে গোছালো

এখানে ওখানে খেলনা ছড়িয়ে রাখা, নতুন খেলনা ভেঙে ফেলা, প্রয়োজনীয় জিনিস নষ্ট করা, পুষ্টিকর খাবারে অনীহা, জাঙ্কফুডে বায়না আর হৈ হুল্লোড় করা আজকালের বাচ্চাদের অতিপরিচিত স্বভাব। ঘরের যেকোনো জিনিসই যেন ঠিক রাখা দায়। শিশুর এই অগোছালো মনোভাব খুব স্বাভাবিকভাবেই নেন বাবা মায়েরা। কিন্তু অনেক বাচ্চার ছোটবেলার এই স্বভাব বড়বেলাতেও থেকে যায়। বড় হবার পরেও তারা এটি নিয়ে মাথা ঘামায় না। সেই আগের মতো অগোছালো মনোভাব, আর জিনিসপত্র এদিক ওদিক করে রাখে। অথচ বাচ্চার মাঝে ছোটবেলা থেকে গোছালো মানসিকতার চর্চা করা যেতে পারে। এইসব করনীয় শেখাতে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু সহজ পন্থা।

– শিশুর খেলনার জায়গা, খাবার জায়গা, ঘুমানোর জায়গা সবকিছুই ছোটবেলা থেকে এমনভাবে রাখুন যেন সে সহজেই এসব খুঁজে নিতে পারে। নিজেও যাতে গুছিয়ে রাখতে পারে তার সহজ নির্দেশনা দিন। প্রথম প্রথম গোছানো সুন্দর না হলেও বাহবা দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে তার কাজ সহজ হয়ে গেছে।

– শিশুর সঙ্গে কাপড় গোছানো, খেলনা গোছানো এসব খেলাচ্ছলে করতে পারেন। বাচ্চার সঙ্গে পুতুল খেলতে গিয়ে তার কাপড় গোছানোটা আরও উদ্বুদ্ধ করবে। এসবের মাধ্যমে শিশুর গোছানোর অভ্যাস গড়ে উঠে।

– অগোছালো রেখে শিশু তার নিজের জিনিসপত্র খুঁজে পাচ্ছেনা কিংবা হারিয়ে ফেলেছে। এমন সময় খুঁজে না দিয়ে তাকেই খুঁজে নিতে বলুন। শিশুকে উপলব্ধি করতে দিন জিনিসপত্র সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখার মূল্য। এতে শিশু এসবের ব্যাপারে বেশি করে যত্নশীল হবে।

– শিশুকে বকাঝকা না করে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন সে কিভাবে তার জিনিসপত্র রাখতে চায় কিংবা কিভাবে রাখলে তার জন্য সুবিধা হবে। শিশুর সঙ্গে মজা করে আলোচনা করে জেনে নিন সে কি চায়, তাকেও বুঝিয়ে বলুন আপনি কি চান।

– নিজের জিনিসপত্রকেও সমান গুরুত্বের সঙ্গে গুছিয়ে রাখুন যাতে করে আপনাকে দেখে সন্তান শিখতে পারে। তাহলে সেও বুঝতে পারবে, তার কী করা উচিৎ।



মন্তব্য চালু নেই