ছোটবেলার সেই নস্টালজিয়া ফিরল অস্কারে

নস্টালজিয়ার সেই মোগলি জাদুতে মাতোয়ারা অস্কার মঞ্চ৷ ৮৯তম অস্কারের মঞ্চে বাজিমাত করল দ্য জঙ্গল বুক। জিতে নিল সেরা ভিস্যুয়াল এফেক্টস পুরস্কার। ৯০-এর দশকের বহু শিশুর অনেক ছুটির রবিবার কেটেছে মোগলি, বাগিরা, বালুর গল্প টিভির পর্দায় দেখে। সেই ছবি নতুন ভাবে থ্রিডি আকারে পর্দায় আসে ২০১৬ সালে। সেই নস্টালজিয়াকেই অনন্য সম্মান দিল অস্কার। জঙ্গল জঙ্গল পাতা চালায় হ্যায়, চাড্ডি পহনকে ফুল খিলা হ্যায়…। এই গান মানেই দূরদর্শনের রবিবারে শুরু মোগলি কেরামতি। বন্যেরা বনে সুন্দর, অরণ্যের এই প্রাচীন প্রবাদ ভেঙে গিয়েছিল ১৮৯৪তে রুডইয়ার্ড কিপলিং লেখনীতে। এক মানব সন্তানের সঙ্গে বনের সমস্ত হিংস্র প্রাণীদের বন্ধুত্ব। এদিকে জঙ্গলের রাজা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে খলনায়ক শের খান। এমনই সময়ে এক মানব শিশুর জঙ্গলে এই অবাধ বিচরণ মেনে নিতে শের খান মেনে নিতে পারেনি। তাই মোগলিকে জঙ্গল ছাড়া করাতে সে উদগ্রীব হয়ে পড়ে। জঙ্গলের এমন যুদ্ধে স্বাভাবিক ভাবেই সামনে এগিয়ে আসে হিরো মোগলি। ছবির শেষে এক টানটান উত্তেজনা এবং দুষ্টের দমনে শেষ শের খানের কূটনৈতিক চাল। এক ঘরে বসবাস শুরু তাদের৷

৬০-এর দশকে তৈরি একটি ইংরাজি অ্যানিমেশন ফিলম ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল৷ সেটি ছিল মোগলির প্রথম অ্যানিমেশন ফিলম৷ ভিনদেশী হাতে তৈরি হলেও ভারতীয় চরিত্র মোগলি প্রাণ ফিরে পায় ঘরের ছোট পর্দায়৷ সেটা ছিল ৯০ দশক৷ জঙ্গল বুক গল্পকেই ফের দূরদর্শনের পর্দায় দেখে চমক লেগেছিল দেশের শিশু-কিশোর সহ বিভিন্ন বয়েসের দর্শকদের৷ তখন শের খান বনাম বাগিরার লড়াই৷ অজগর কায়ের প্যাঁচ৷ বালুর নাচন কোঁদন আর মোগলির কেরামতি৷ সবমিলে রবিবার থাকত জমজমাট৷ ২০১৬ সালে সেই নস্টালজিক মোগলি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের থ্রিডি রূপে প্রত্যাবর্তন হয়৷ একেবারে স্মার্ট ফোনের হাইটেক প্রজন্মের কাছেও আবার সুপার হিট৷ এবার মোগলির চরিত্রে অভিনয় করেন ভারতীয় নীল। বাকিটা ইতিহাস।

১২৩ বছরের পুরনো একটি গল্প বারে বারে পাঠক-দর্শকদের নাড়া দিয়েছে৷ সেই রেশ ধরে ২০১৬ মুক্তি পাওয়া হলিউডি ফিলম দ্য জঙ্গল বুক বড় পর্দায় ঝড় তুলে দিয়েছে৷ ৮৯তম অস্কার মঞ্চেও তার রমরমা। শতবর্ষ পার করা কাহিনীর পাতায় হলদে দাগ পড়তে পারে। কিন্তু মোগলি? সে এখনও ১২-র বালকটিই আছে। অস্কারের ঝলমলে মঞ্চে সেই উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা গেল৷



মন্তব্য চালু নেই