ছেলেদের বিয়ে করতে হলে বিদেশ থেকে মেয়ে নিয়ে আসতে হবে

জনসংখ্যা বৃদ্ধি রুখতে আগে থেকে সে দেশে আলোচিত ‘এক-সন্তান’ নীতি চালু হয়েছিল। যার ফলে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তাই সেখানে নাকি বিয়ের জন্য কনে পাওয়া যাচ্ছে না! ঘটনাটি ঘটেছে বেশি দূরে নয় বলা চলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীনে।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে নানা মুখরোচক খবরের মধ্যে একটি হলো চীনে নাকি বিয়ের জন্য কনে পাওয়া যাচ্ছে না। চীনে আলোচিত ‘এক-সন্তান’ নীতির কারণে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে চীনে বিয়ের জন্য কনে পাওয়া রীতিমতো দুরূহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে।

বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে এসব তথ্য জানা যায়। খবরে বলা হয়েছে যে, চীনে নারী-পুরুষের আনুপাতিক ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার প্রায় সাড়ে ৩ কোটি পুরুষকে বিদেশে কনে খুঁজে বিয়ে করা লাগতে পারে। করতেই হবে দেশে যদি কনে না থাকে, তাহলে বিদেশের মেয়েই ধরতে হবে।

খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, চীনে পুরুষের সংখ্যা ৬৯৭ দশমিক ২ মিলিয়ন। সেখানে নারীর সংখ্যা ৬৬৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন। সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ৩৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন বেশি। চীনে আশির দশকের শেষের দিকে ছেলেমেয়ের অনুপাত ছিল ১০৮:১০০, ২০১৩ সালে এসে এই অনুপাত দাঁড়ায় ১১৭: ১০০। খবরে বলা হয়েছে যে, কিছু কিছু এলাকায় এই অনুপাত আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, চীনের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ৩ দশকেরও বেশি সময় আগে এক সন্তাননীতি প্রথা চালু করা হয়। এই নীতির প্রভাবে সেখানকার সমাজে ছেলে সন্তানের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এখন চীনকে ওই নীতির নেতিবাচক ‘কুফল’ গুণতে হচ্ছে।

সাম্প্রতিক এক ঘটনায় পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক তা ফুটে উঠেছে। গত বছর বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, একদল নারী পাচারকারী চক্র কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ হতে নারী ও মেয়েদের চীনে নিয়ে আসে। এরপর চড়া দামে ওই নারী এবং মেয়েদের চীনা পুরুষদের কাছে স্ত্রী হিসেবে বিক্রি করে দেয়। এসব ঘটনা নারী সংকটের কথায় মনে করে দেয়।



মন্তব্য চালু নেই