ছুটির দিনে মেনে চলুন বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য সতর্কতা

আধুনিক জীবন হয়ে উঠছে যান্ত্রিক। সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই এখন কাটাতে হয় নিদারুন ব্যস্ততায়। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততা ও মানসিক চাপ কাটাতে ছুটির দিনগুলোতে দরকার পরিমিত বিশ্রাম। সাথে দরকার স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আর শরীরের প্রতি একটু বিশেষ যত্ন।

অথচ হাল আমলে আমরা ছুটির দিনটাকেই সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন বানিয়ে ফেলি। বাঁধা পড়ি নানা অনিয়মের বেড়াজালে। এই ধরনের জীবনযাপন শরীরের উপর যেমন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তেমনি এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতেও। তাই সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে ছুটির দিনগুলোতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন।

চলুন সেগুলো জেনে নেই-

১। রুটিনমাফিক জীবন যাপন
ছুটির আগের রাতে পরিমিত ঘুমান। মনে রাখবেন, অতিরিক্ত ঘুম বা রাত্রিজাগরণ উভয়ই শরীরের জন্য খারাপ। ছুটির আগের রাত ও ছুটির দিনেও কমপক্ষে ৬-৭ ঘন্টা ঘুমান। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন ও কিছু সময় প্রার্থনা করুন।

২। পরিমিত বিশ্রাম
সকালবেলা শরীর চর্চা, বাজার করা ও রান্না-বান্নার জন্য পর্যাপ্ত সময় না পেলে দুপুর বা বিকালটা রাখুন একান্ত নিজের জন্য। মনে রাখুন ছুটির দিনটা দেওয়া হয়েছে একটু বিশ্রামের জন্যই।

৩। শরীরের বিশেষ যত্ন
সপ্তাহের অন্যান্য দিন হয়ত ব্যস্ততার কারনে শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় পাওয়া যায় না। ছুটির দিনে এই সুযোগটা কাজে লাগান। শরীরের যত্ন নিন। সময় করে চুল ও নখ কাটতে পারেন। গোসল করুন একটু সময় নিয়ে। সপ্তাহে অন্তত একদিন ভালো করে শ্যাম্পু করা উচিত। শ্যাম্পুর জন্য ছুটির দিনটিকে বেছে নিতে পারেন। ত্বক ও চুলের যত্নেও বিশেষ কিছু করতে পারেন।

৪। হালকা ব্যায়াম
ব্যায়াম শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায় ও শরীর হালকা রাখতে সাহায্য করে। ছুটির দিনে নিয়ম করে হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এটা দুশ্চিন্তা দূর করতে ও মানসিক প্রশান্তি আনতে বিশেষ সহায়ক। মনে রাখবেন, নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে অনেক প্রাণঘাতি রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।

৫। স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিমিত খাবার
খাবারের পুষ্টিগুণ এবং শর্করা, প্রোটিন ও স্নেহ বা চর্বির মধ্যে সামঞ্জস্য খেয়াল রাখুন। মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার পরিত্যাগ করুন। পরিমিত খান। খাবারে প্রচুর পরিমানে সবজি রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। খেয়াল রাখবেন, ভালো পরিপাকের জন্য খাবার ভালমতো চিবিয়ে খেতে হবে।

৬। প্রিয়জনদের সময় দিন
ছুটির দিনে প্রিয়জনদের সময় দিন। এদিন সময় করে আত্নীয়-স্বজন ও কাছের মানুষদের সাথে দেখা করতে যেতে পারেন। পারস্পরিক যোগাযোগ ও সম্পর্ক বৃদ্ধি মানসিকভাবে আপনাকে সুস্থ রাখবে এবং সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় করবে।

৭। ঘুরে আসুন কাছে কোথাও
এমন জায়গা নির্বাচন করুন যা বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয়। নির্মল বাতাস নিতে প্রকৃতির ছোঁয়া আছে এমন কোন জায়গায় যেতে পারেন। দূষণমুক্ত বাতাস ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আপনার মন ও শরীরকে নিমিষেই চাঙ্গা করে তুলবে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলো সতেজ ও সুস্থ থাকতে এটা খুবই সহায়ক।

৮। সৃজনশীল কিছু করুন
সৃজনশীলতা আপনার তারুণ্য ধরে রাখে, বয়স কমিয়ে দেয়। ছুটির দিনের অবসরে বাগান করায় সময় দিতে পারে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে তাও করতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই