ছাত্রের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জেল হচ্ছে শিক্ষিকার

স্কুলছাত্রের সঙ্গে গোপনে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সাজা হতে যাচ্ছে এক শিক্ষিকার। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রের সঙ্গে ছয় মাস দৈহিক সম্পর্কে জড়ানোয় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন আদালত।

শিক্ষিকা লরেন কক্স। বয়স ২৭ বছর। যুক্তরাজ্যের সাউথ লন্ডনে একটি স্কুলে পড়ান তিনি। ১৬ বছর বয়সি ছাত্রের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আইনি কারণে ছাত্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

ডেইলি মেইল অনলাইনের এক খবরে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্কুলছাত্রের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন লরেন কক্স। বৃহস্পতিবার ক্রোইডন ক্রাউন কোর্টে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আনা যৌন হেনস্তার পাঁচটি অভিযোগ স্বীকার করেন শিক্ষিকা কক্স।

লরেন কক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর ৯ ও ১৬ এপ্রিল ছাত্রের সঙ্গে যৌন আচরণে মত্ত হন তিনি। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ছাত্রের সঙ্গে দৈহিক মিলন করেন। এ সময় ছাত্রের বয়স ছিল ১৬ বছর।

ছাত্র-শিক্ষিকার হীন সম্পর্ক অন্য শিক্ষার্থীরা জেনে যায়। তারা ওই ছাত্রের বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। এর ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানানো হয়।

ওই ছাত্র জানিয়েছে, তার বয়স যখন ১৩ বছর তখন শিক্ষিকার সঙ্গে তার প্রথম আলাপ হয়। এরপর শিক্ষিকার প্ররোচণায় তাদের মধ্যে ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে। এভাবে প্রায় দুই বছর চলার পর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তারা দৈহিক মিলন করে।

আদালতের দৃষ্টিতে ছাত্র-শিক্ষিকার এ সম্পর্কের জন্য শিক্ষিকাই দায়ী। কারণ তাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান ১০ বছর। এ জন্য শিক্ষিকার ছয় মাসের জেল হতে পারে বলে ধারণা করছেন সরকারি আইনজীবী ব্রিয়ান রেসি।



মন্তব্য চালু নেই