ছাত্রীকে হত্যার পর ঘাতকের আত্মহত্যা

কলেজছাত্রীকে রাস্তার ওপর গলা কেটে হত্যার পর ঘাতক তার নিজেরও গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে। লোমহর্ষক এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে নীলফামারী শহরের মশিউর রহমান কলেজ মোড় এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী লিজা আক্তার (২০) ও ঘটনাস্থলের পাশেই থাকা এভারগ্রিন (পরচুলা) কোম্পানির মাইক্রোবাস চালক নয়নের (৩০) গলাকাটা লাশ রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখে সদর থানায় খবর দেয়া হয়।

এলাকাবাসীর ধারণা, প্রাইভেট পড়া শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় ঘটনাস্থলে নয়ন আর লিজার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নয়ন ক্ষিপ্ত হয়ে লিজাকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর নয়ন নিজের গলাও কাটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। লিজার ছেঁড়াফাটা জামা-কাপড় আর স্যান্ডেল ওড়না ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে মনে হয় লিজা ও ঘাতকের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়েছিল। পরে থানা পুলিশ নয়নের হাতে থাকা ছোরাসহ দু’জনের লাশ থানায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসীর ধারণা, প্রেমঘটিত কারণেই এ নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, লিজার সঙ্গে নয়নের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সমপ্রতি লিজা জানতে পারে নয়ন বিবাহিত এবং তার সন্তান আছে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরেই গতকাল এ ঘটনা ঘটে। নয়ন উত্তরা ইপিজেড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। সে সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের গোড়গ্রাম পাড়ার ছায়েদ আলীর পুত্র। লিজা পল্লী বিদ্যুৎ কৈপাড়া এলাকার জহুরুল হকের মেয়ে। সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর তপন কুমার জানান, তদন্ত চলছে। লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয়েছে। প্রেমঘটিত কারণে নাকি আগের কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।-এমজমিন



মন্তব্য চালু নেই