ছাত্রীকে নিয়ে ফুর্তি করার কথা স্বীকার করলেন সেই শিক্ষক
কৌশলে শ্বশুরের ফ্ল্যাটে পছন্দমত ছাত্রীকে ডেকে এনে ফুর্তি করার কথা স্বীকার করলেন সেই লম্পট শিক্ষক। অভিযোগের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রশীদ ফেরদৌস।
৭ মে শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলামের খাসকামরায় আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ফেরদৌস। আগামী ৩০ মে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে দুদিন রিমান্ড শেষে আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক শামীম আহমেদ।
আসামি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি সহকারী প্রক্টর, একইসঙ্গে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের (ইইই) শিক্ষক।
গত ৪ মে কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইদিন আদালতে হাজির করে ৭ দিনর রিমান্ড চাইলে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদউল্লাহ আল সায়েম ৩ মে রাতে কলাবাগান থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পড়া বোঝানোর নামে শিক্ষার্থীদের নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন ফেরদৌস। তার ডাকে সাড়া না দিলে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিতেন তিনি।
ফ্ল্যাটে ডেকে কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ফেরদৌস তার অফিসিয়াল নম্বরে আজেবাজে ম্যাসেজ পাঠিয়ে রাখতেন, যা দিয়ে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলতেন। কৌশলে শিক্ষার্থীদের নিজের ফ্ল্যাটে যেতে বাধ্য করতেন এই লম্পট শিক্ষক ।
ফেরদৌস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরের সহকারী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে বরখাস্ত করা হয়। তার শাস্তির দাবিতে কয়েকদিন প্রতিষ্ঠানটির তেজগাঁও ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য চালু নেই