ছাত্রলীগের সংঘর্ষে দিনাজপুর মেডিকেল রণক্ষেত্র, আহত ১০
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে (দিমেক) কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো থমথমে। ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কলেজের নির্বাচিত ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি আশফাকুর রহমান তুষায়ের সমর্থিত ছাত্রদের সঙ্গে ছাত্রলীগের মেডিকেল কলেজ শাখার পদবঞ্চিত মোজায়েদুল হাসান গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া করে। শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। এতে জিম্মি হয়ে পড়েন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও কলেজ অধ্যক্ষ ডা. কামরুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালায়। এরপরও প্রায় দু’ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। দুপুর সাড়ে ১২টায় পরিস্থিতি পুলিশে নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। তাদের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল ও রাশেদুল ইসলাম নামে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সংঘর্ষের সময় কলেজের আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উভয় গ্রুপের ছাত্ররা।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলতাফ হোসেন।
প্রসঙ্গত, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ (দিমেক) এ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর বুধবার থেকে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই